বগুড়ার ধুনটে বিদ্যালয় মাঠসহ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, চরম দুর্ভোগ
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় এলাঙ্গী ইউনিয়নের নলডাঙ্গা গ্রামের শতাধিক পরিবার আকস্মিকভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের একই চিত্র। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, পাশের একটি সরকারি কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করায় বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে গ্রামবাসি ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেখানে হাঁটুর ওপর পানি জমেছে। অনেক বাড়ির আঙিনাতেও পানি। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, আগে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা ছিল না।
গ্রামের মাঝে সরকারি পাকা সড়কে কালভার্ট দিয়ে বৃষ্টির পানি দ্রুত সরে যেত। একই গ্রামের নজরুল ও রেজাউল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন মিলে দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টের মুখে মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে তারা কালভার্টের মুখ বন্ধ করার পর থেকেই এই এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই তারা আতঙ্কে থাকেন। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। পানির নিচে তলিয়ে থাকা সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচলের উপায় নেই বললেই চলে। যাতায়াতের বিকল্প কোনো পথ নেই। এই ভোগান্তি কবে দূর হবে, তারা জানেন না।
ভুক্তভোগী গৃহিণী লতা খাতুন বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় আটকে গেছি আমরা। পানি সরে না যাওয়ায় চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। গোয়ালঘরে পানি, শোয়ার ঘরেও পানি। পানিবন্দী হয়ে রাতে না ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি। হাঁটুসমান ময়লা পানি ডিঙিয়ে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না।
আরও পড়ুনএকই এলাকার অটোভ্যান চালক মংলা মিয়া বলেন, এ এলাকায় শতাধিক পরিবারের বাস। কিন্তু পানি সরার মতো ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গত চারদিন ধরে এলাকায় পানি জমে থাকায় গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছি না। ফলে আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম বলেন, ওই কালভার্ট দিয়ে পানি গড়ালে আমাদের পুকুরের পাড় উপচে মাছ বেরিয়ে যাবে এবং পাশের পাকা ধানক্ষেত তলিয়ে ক্ষতি হবে। আমরাও চাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর একটি স্থায়ী সমাধান করা হোক। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
মন্তব্য করুন