সোনাতলায় সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থায় ঝুঁকেছে কৃষক
বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় চলতি ইরি বোরো মওসুমে উৎপাদন খরচ কমাতে শ্যালো ও বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পের পরিবর্তে সূর্যের শক্তিতে সৌর চালিত সেচ পাম্পের প্রতি ঝুঁকেছে কৃষক। এতে উৎপাদন খরচ তিন ভাগের একভাগে নেমেছে কৃষকের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলায় মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর। অপরদিকে কৃষি বিভাগ চলতি বছর ১০ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে চলতি বছর ইরি বোরো রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যা গত বছর ছিল ১০ হাজার ৩৪০ হেক্টর।
ওই উপজেলায় শ্যালো চালিত মেশিন রয়েছে ৪৬টি, বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপ রয়েছে ৬৮টি। অপরদিকে সৌর চালিত সেচ পাম্প রয়েছে ১০৩টি। প্রতিটি সৌর চালিত সেচ পাম্পের আওতায় ৯০ থেকে ১২০ বিঘা পর্যন্ত জমি রয়েছে।
উপজেলার শালিখা, মধুপুর, আড়িয়ার ঘাট, পাকুল্লা, চালকান্দি, হুয়া কুয়া, পদ্মপাড়া, নিশ্চিতপুর, ভেলুুরপাড়া, সোনাকানিয়া, চরপাড়া, দীঘলকান্দি, মহিচরণ, চাড়ালকান্দি, মাদারিপাড়া, কর্পূর, মূলবাড়ি, পাঠান পাড়া এলাকায় কৃষক সৌর চালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে ইরি বোরো চাষ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ফাজিলপুর এলাকায় তোজাম্মেল হক, পদ্মপাড়া এলাকার সাইদুর রহমান, হুয়াকুয়া এলাকার আতোয়ার রহমান, শালিকা এলাকার তুহিন মিয়া, পাকুল্লা এলাকায় সাহারুল ইসলাম, পাঠানপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলাম মাস্টার বলেন, শ্যালো ও বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে এক জমিতে সেচ দিতে খরচ হয় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা।
আরও পড়ুনএছাড়াও এলাকার ভেদে ১৬ আটিতে মেশিন মালিককে দিতে হয় ৪ আটি। এতে করে এক বিঘা জমিতে ২৫ মণ ধান উৎপন্ন হলে মেশিন মালিককে দিতে হয় ৮ মণ। প্রতিমণ ধানের দাম ১২শ’ টাকা হলে মেশিন মালিককে বছরে প্রায় ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। অপরদিকে বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পে এক বিঘা জমির জন্য দিতে হয় মাত্র ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা।
তাই দিন দিন সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষকরা মান্ধাত্বা আমলের সেচ পদ্ধতি পরিবর্তনের দিকে মনোযোগী। এ ছাড়াও কৃষকরা আরও জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ পদ্ধতির প্রতি তাদের আস্থা কম। বিদ্যুতের লোড শেডিং সেচ ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটার আশংকা থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, শ্যালো ও বিদ্যুৎ চালিতসেচ পাম্প এবং সৌর বিদ্যুৎ এই তিন পদ্ধতির মধ্যে সূর্যের আলোয় সেচ ব্যবস্থা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী।
মন্তব্য করুন