বগুড়ার বাজারে চালের চেয়ে আলুর দাম বেশি
স্টাফ রিপোর্টার : আলু বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও রান্নার প্রধান সবজি। বছরজুড়েই বাজারে ও বাঙালির রকমারি খাবার পদে আলুর উপস্থিতি থাকে বেশি। দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই আলু সবজি হিসেবে সমান জনপ্রিয়।
দাম কম থাকায় আগে বেশি করে আলু খেতে বলা হতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। কেননা ১৫-২০ টাকার আলু এখন ঠেকেছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বাজার মূল্যে কেজি প্রতি চালের চেয়ে এখন আলুর দামই বেশি। তাই গরিবের পাতে নিয়মিত আর আলু উঠছে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বগুড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কার্ডিনাল আলু প্রতিকেজি পাইকারিতে ৫২ এবং খুচরা পর্যায়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লাল পাকড়ি আলু পাইকারি ৬৪ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবছর আলুর সংকট। ভরা মৌসুমেই এবার দাম চড়া ছিল। আর মৌসুমের শুরু থেকেই প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে সবজিটির দাম দফায় দফায় বাড়ছে, তাই সবজিটির দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা যাচ্ছে না।
এদিকে বর্তমানে বগুড়ার বাজারে প্রতিকেজি চাল মানভেদে ৪৫ থেকে ৭৬ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। মোটা চাল মানভেদে ৪৫ থেকে ৫২ টাকা, মাঝারি মানের চিকন চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা এবং সরু চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৭৬ টাকায়।
আরও পড়ুনট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র তথ্যও বলছে, বাজারে চালের চেয়ে আলুর দাম বেশি।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশ থেকে আলু রপ্তানি হয়েছে। যদিও তা আগের তিন বছরের রপ্তানির তুলনায় অনেক কম। কিন্তু বর্তমানে রপ্তানি তো দূরের কথা, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানি করেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন বলছে, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মৌসুমের আলু কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ শুরু হয়। এবছর এলাকাভেদে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম আলু সংরক্ষণ হয়েছে। একইসঙ্গে উৎপাদন কম হওয়ায় এবারে নির্দিষ্ট সময়ের আগে থেকেই কোল্ড স্টোরেজের আলু বিক্রি শুরু হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশে বছরে সবজি হিসেবে আলুর চাহিদা ৩৮ থেকে ৪৪ লাখ মেট্রিকটন। গত মৌসুমে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৪ লাখ মেট্রিকটন। তবে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত আলু উৎপাদনের তথ্য প্রকাশ করেনি বিবিএস।
মন্তব্য করুন