নীলফামারীতে নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন তারেক রহমান
নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছড়ি গ্রামে বাড়ি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পদক (রংপুর বিভাগ) ও সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুল হাবিব দুলু।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গঠন করা সেল ‘আমরা বিএনপির পরিবার’ এর উদ্যোগে দুই কক্ষবিশিষ্ট টিনশেড পাকা বাড়িটি নির্মাণে সাড়ে তিন লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আমরা বিএনপির পরিবার এর উপদেষ্টা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন, আহবায়ক আতিকুল রহমান রুমন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা, লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, টুপামারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান মজনু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই মাসুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নিহত লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী এবং টুপামারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান আতিকের কবর জিয়ারত করেন করেন নেতৃবৃন্দ। নীলফামারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, গোলাম রব্বানী ছিলেন নীলফামারী লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ভোরে সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের আরাজী গ্রামে সড়কের ধারে থাকা একটি বাঁশঝাড় থেকে গোলাম রব্বানীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর একদিন পর সৈয়দপুরের নড়িয়াডাঙ্গা থেকে টুপামারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান আতিকের গুলিবিদ্ধ মারদেহ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারে নীলফামারী-২ আসনের বর্তমান সংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহরে হামলা এবং আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় গোলাম রব্বানীকে প্রধান আসামি এবং আতিকুর রহমান আতিককেও আসামি করে পুলিশ।
এদের মধ্যে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ঠুনঠুনিয়া গ্রামে মামার বাড়ি থেকে গোলাম রব্বানীকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। এর আগে ১৪ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইলের দেবিডুবা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আতিকুর রহমান আতিককে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এরপর দু’জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুরে পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন