ভিডিও

বাড়ছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:৪২ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১২:২২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি বেশ পুরনো। অবশেষে চাকরি প্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। বাড়ছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে। চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান কোথায়, কী সংশোধনের প্রয়োজন হবে -তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২এবং অবসরের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে প্রকাশ, সরকারি চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ। বুধবার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঐ চিঠিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স ইতিপূর্বে যথাক্রমে ৩০ ও ৫৯ (মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের যথাক্রমে ৩২ ও ৬০) বছর করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুস্কাল বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর।

বিগত এবং বর্তমান সময়ে যে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকের বয়স ৬৭ বছরের উর্ধ্বে। এতে আরো বলা হয়, চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানদন্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিশ্বের ১৬২টি দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর, কোনো কোনো দেশে আবার এটি উন্মুক্ত।

একই সঙ্গে অবসরের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ভেদে ৬৫ থেকে ৬৭ বছর এবং কোনো ক্ষেত্রে ৭২ বছর। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ এবং অবসরে যাওয়ার বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকরি প্রত্যাশী এবং চাকরি দাতাদের পক্ষে আন্দোলন ও দাবি উত্থাপিত হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের জাঁতাকলে পড়ে বিভিন্নভাবে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হয়ে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তা সময়মতো পদোন্নতি ও উপযুক্ত পদে পদায়ন না হওয়ায় সরকারি কাজে তারা তাদের প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হননি।

স্বৈরাচারী কায়দায় দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ায় মেধাবী যুব সমাজকে কোটার আবরণে বঞ্চিতরাসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কিংবা রাজাকারের সন্তান, ভিন্ন মতাবলম্বী ইত্যাদি তকমা দিয়ে বিভিন্ন অপকৌশলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করায় বৈষম্যহীন, মেধাভিত্তিক ও যোগ্যতা ভিত্তিক নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়া সম্ভব হয়নি।

তাই মেধাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের চাহিদা ভিত্তিক কাক্সিক্ষত সংস্কারমুখী পুনর্গঠিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ৩৫ ও অবসরের সময়সীমা যথাক্রমে ৬৫ বছর করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।

চাকরির আবেদনের বয়স বাড়ানোর আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা খাতুন মুক্ত গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিযোগিতার এ সময়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিতে ৩০ পেরিয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জটের কারণে বয়সসীমা একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে আসে। এতে করে কাক্সিক্ষত চাকরি পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে।

দেশে এখন ২৬ লাখ বেকার। তাদের মধ্যে অধিকাংশই বয়সসীমা পার করায় হতাশায় ভুগছেন। বয়সের কারণে অর্জিত সনদ অকেজো হয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। আমরা মনে করি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিএসএ’র দাবিটি পর্যালোচনা সাপেক্ষে পূরণ করতে আগ্রহী হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS