ভিডিও

দুর্ভোগ থেকে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বগুড়ার গোহাইল রোড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ১০:৫৬ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ১২:০৪ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার সাতমাথা থেকে ফুলতলা প্রথম বাইপাস পর্যন্ত গোহাইল সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার। শহরের সাতমাথা থেকে সড়কটি বগুড়া পৌরসভার ৭, ৮, ৯ ও ১৩নং ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে শাজাহানপুরের প্রথম বাইপাস ফুলতলায় গিয়ে ঠেকেছে।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বগুড়ার মূল শহরে আসতে হয় নন্দীগ্রাম উপজেলা ও কাহালু উপজেলার বড় একটি অংশের মানুষের। এছাড়াও পাসপোর্ট অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খ্রিস্টান মিশন স্কুল ও হাসপাতাল, আবহাওয়া অফিস, নেকটার, একাধিক ক্লিনিকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যাওয়ার অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম এই সড়ক।

ভাঙাচোরা সড়কটির দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে। সড়কের গভীর গর্তে পানি জমে এখন তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটি এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহারেরও সুযোগ নেই চলাচলকারীদের। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে স্থবিরতা এসেছে ওই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার সড়কটির বেশিরভাগ অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে। বর্তমানে সড়কটি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে খানাখন্দক, এবড়োথেবড়ো, ভাঙ্গাচোড়ায় যানবাহন বিকল হয়ে রাস্তায় আটকে থাকছে। কার্পেটিং উঠে রাস্তার ইটের খোয়া বেড়িয়ে কোথাও কোথাও এত গভীর গর্ত হয়েছে যে, যানবাহন চলাচলের এবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

রাস্তা খারাপ হওয়ায় বেশিরভাগ যানবাহন এ রাস্তায় আসতে চায় না। প্রতিদিন নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলার হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে এই রাস্তা দিয়ে বগুড়ার মূল শহরে প্রবেশ করেন। এই সড়ক সংলগ্ন বাণিজ্যিক কেন্দ্রের অনেক ব্যবসায়ীই অক্ষেপ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়কটির কারণে।

বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে অতিপ্রয়োজনীয় সরকারি দপ্তরগুলোতে সেবা নিতে আসা মানুষসহ বিভিন্ন ক্লিনিক এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS