ভিডিও

মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলেদেশি,ফেরত ১২৩ বিজিপি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৩:০৩ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৩:০৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশে ফিরেছেন ৮৫ জন বাংলাদেশি। একই জাহাজে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২৩ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) এবং সেনা সদস্য সে দেশে ফেরত যাবেন।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে সাজাভোগ শেষে ৮৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল ১২৩ বিজিপি ও সেনা সদস্যদের গ্রহণ করবে।

সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘৩ দফায় অনুষ্ঠিত প্রত্যাবসন প্রক্রিয়ার মতোই এবারও ৮৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা এবং মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি ১২৩ বিজিপি ও সেনা সদস্যদের নিয়ে স্বদেশে ফেরত যাচ্ছেন।’ পুরো প্রক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. রাহাত বিন কুতুব তদারকি করছেন।  

প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ নামের জাহাজটি ৮৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে রওনা হয়। জাহাজটি সাগরের বাংলাদেশ সীমানায় অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে রবিবার সকাল সোয়া ৯ টায় বাংলাদেশি একটি জাহাজে করে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছায়। এদিকে সকাল সাড়ে ৮ টায় টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বিজিবির হেফাজতে থাকা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ১২৩ জন সদস্যকে বাস যোগে আনা হয়। এখন উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা তাদের হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা চলছে।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে এবং অন্যদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রত্যাগত ৮৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীরা কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার। ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আরও একবার বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।  

এ নিয়ে গত ১৫ মাসে মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বমোট ৩৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

এর আগে, শনিবার সকালে রাখাইনের সিতওয়ে বন্দর থেকে ৮৫ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে দেশটির নৌবাহিনীর একটি জাহাজ কক্সবাজার নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এদিকে মিয়ানমার ফেরত বাংলাদেশিদের জন্য নুনিয়ারছড়া ঘাটে অপেক্ষা করছেন স্বজনেরা।

টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে আমার এলাকার পাঁচ মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১৫ দিন পরে জানতে পারি, তারা মিয়ানমারের কারাগারে আছে। কাগজপত্র পাঠানোর পর গতকাল খবর দেওয়া হয়েছে, তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

এর আগে, গত ৯ জুন মিয়ানমারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে ৪৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেন। ওই দিন মিয়ানমার ফেরত যান ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য। এরপর ২৫ এপ্রিল বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেন আরও ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই দিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে সেই দেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS