ভিডিও

বগুড়ার শেরপুরে আ’লীগের সাবেক দুই এমপিসহ ১৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি, তাদের ছেলে ও ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিলে সশস্ত্র হামলা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি হাবিবর রহমান, তার ছেলে আসিফ ইকবাল সনি, ব্যক্তিগত সহকারী কোরবান আলী মিলন, সাবেক এমপি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, তার ছেলে শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোওয়ার রহমান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বীয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন, সাবেক কাউন্সিলর শুভ ইমরান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান ভুট্টো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সানি প্রমুখ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে শেরপুর শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের খেজুরতলাস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের পশ্চিমপাশে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ওপর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন নেতাকর্মীরা।

এসময় মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ লোহার রড, লাঠি নিয়ে বিএনপি’র ওই মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এমনকি বিএনপি’র ওই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুঁড়ে এবং হাতবোমা নিক্ষেপ করেন। এসময় সোহাগ ও শান্ত নামের দুইজন গুরুতর আহত হন।

এছাড়া লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ আপেল, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ কাওছার কলিন্সসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এরপর সশস্ত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়।

মামলার বাদি উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ঘটনার সময় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় ছিলেন। তাই থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও নিতে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমরা যেন মামলা করতে না পারি সেজন্য থানায় পাহারা বসিয়েছিল।

ওই ঘটনায় মামলা করলে প্রাণনাশ করা হবে বলেও হুমকি-ধামকি দিয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারিনি। কিন্তু গত ৫আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ন্যায় বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয়। ফলে ন্যায় বিচার পেতে এখন মামলাটি দায়ের করেছেন বলে দাবি করেন ওই বিএনপি নেতা।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মামলা নেয়ার কথা স্বীকার করে দৈনিক করতোয়া‘কে বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS