বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
করতোয়া ডেস্ক : বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে ও কালো পতাকা উত্তোলনসহ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন-
বগুড়া : বগুড়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দল, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ খোকন পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম তার সহকর্মীদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পুলিশ বিভাগের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তার জেলা পরিষদ, পৌরসভা, বগুড়া প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সংস্থার পক্ষ থেকে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ভবন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। দিনটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন, কবিতা পাঠ ও প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও সন্ধ্যায় শহিদ খোকন পার্কে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
রাকাব : দিবসটির কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের নিরীক্ষা, হিসাব ও আদায় মহাবিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা নাসরীন, রাজশাহী বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম, প্রধান কার্যালয়ের সকল উপ-মহাব্যবস্থাপক ও বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, স্থানীয় মুখ্য কার্যালয় রাজশাহী, বিভাগীয় কার্যালয়, বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয়, জোনাল কার্যালয় ও জোনাল নিরীক্ষা কার্যালয়, রাজশাহী এবং এসইসিপি, রাজশাহীসহ রাজশাহী জোনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
একই সময়ে রাকাব কর্মচারী সংসদ (সিবিএ), বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং এসইসিপি, রাজশাহী পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শিশু একাডেমি, বগুড়া : জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমি বগুড়ার উদ্যোগে কবিতা আবৃত্তি ও সুন্দর হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং প্রতিযোগিতা শেষে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা শাহ মো. ইসাহাক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেবেকা সুলতানা ডলি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য গৌতম কুমার দাস। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শিশু একাডেমি বগুড়ার প্রশিক্ষক মৌসুমী রহমান।
বিইউজে : দিবসটির কর্মসূচীর মধ্যে ছিল প্রথম প্রহরে শহিদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভা। এদিন সকালে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিইউজে’র সভাপতি জেএম রউফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সহ-সভাপতি ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন (বিএফইউজে)’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু। বিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান রানার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রবীর মোহন্ত, কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাবু ইসলাম, বিউইজে সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক মুরশীদ আলম, সংগীত রায় বাপ্পী, গৌরব চন্দ্র দাস, খায়রুল আলম, সাজ্জাদ হোসেন, কাওসার উল্ল্যা আরিফ, রাজু আহম্মেদ, সুজন কুমার সরকার, সঞ্জু রায়, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ : দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রভাত ফেরিতে শহিদদের স্মরণে ব্যানার, ফেস্টুনসহ বগুড়া খোকন পার্কের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে দিবসটির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোজাম্মেল হক ও অধ্যক্ষ অসিত কুমার সরকার। আলোচনা শেষে সকল প্রতিযোগিকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি : ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করেছে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের পরিবারের প্রতিনিধি রাহুল গাজীর হাতে ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মুহা. সুজন শাহ-ই-ফজলুলের সভাপতিত্বে আলোচনা ও সম্মাননা পর্বে প্রধান আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, লুক এশিয়ার সম্পাদক ও চেয়ারম্যান স্বদেশ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিওটি ভাইস চেয়ারম্যান রোটা. ডা. মতিউর রহমান, সদস্য সোহরাব আলী খান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনসার আলী তালুকদার। অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিওটি উপদেষ্টা ও ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম আফজাল হোসেন। পুণ্ড্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি)’র চেয়ারম্যান ও টিএমএমএস’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম ও উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা, ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের পরিবারকে সম্মাননা ও বাংলা ভাষা ও ইতিহাস বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ : দিবসটিতে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতকণ্ঠে একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো, একুশে ফেব্রুয়ারি’ ও আল মাহমুদের ‘একুশের কবিতা’ পরিবেশন করে।
শতকণ্ঠে একুশের গান ও কবিতা অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায়, ভাষা সৈনিক গাজীউল হক পুত্র রাহুল গাজী।
শতকণ্ঠে একুশের গান ও কবিতা অনুষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক আল আমিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম, কলেজ শাখা শিক্ষক প্রতিনিধি জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নাছিমা খাতুন, স্কুল শাখা শিক্ষক প্রতিনিধি ইবনুল তাশরিফ, ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আব্দুল মোবিন জিন্নাহ, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রিপন কুমার সরকারের পরিচালনায় শতকণ্ঠে একুশের গান ও কবিতা, দলীয় গান এবং সহকারি শিক্ষক মাসুকুর রহমানের পরিচালনায় শিক্ষার্থীরা দলীয় নৃত্যে অংশগ্রহণ করে।
বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ : দিবসটি উপলক্ষ্যে কর্মসূচির মধ্যে প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, একুশের গান, শেখ রাসেল দেয়ালিকা প্রকাশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্র বগুড়ার পরিচালক মোহা. আব্দুর রফিক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষদ্বয় দুলাল হোসেন ও শফিকা আকতার, সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, নাসরিন আকতার, জিয়াউর রহমান, সাইফুল আলম, প্রভাষক তানজানিয়া খানম, আব্দুল হান্নান, হাফিজুর রহমান, আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম, সাবিহা নাজনীন, ইসমত আরা এলিন, নাজনীন আকতার, প্রদর্শক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি শিক্ষক সনজিদা খানম, আরিফুর রহমান, বিশ্বরূপ রায়, মাহাবুব আলম, শহিদুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, বুলবুল আহমেদ, কাজী আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা কামাল, আবু হানিফা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম প্রমুখ। শেষে প্রধান অতিথি ‘শেখ রাসেল দেয়ালিকা’ উম্মোচন করেন।
ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেনের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক মোস্তফা কামাল।
বগুড়া কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ : সকালে প্রভাতফেরিসহ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল মামুন সরদারের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
পরে ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক ও একাডেমিক ইনচার্জ (মাধ্যমিক শাখা) শাহজাহান আলী সরদার, সহকারী শিক্ষক ও একাডেমিক ইনচার্জ (প্রাথমিক শাখা) পলাশ রহমান, প্রভাষক রায়হানুর রশিদ, মুকুল হোসেন, ইমদাদুল হক, সবুজ আলী, মিক্রাইল হোসেন, অমিত কুমার রায়, মাসুম প্রধান, সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীন, আনার কলি, আবু সালাম, শারমিন ফেরদৌস, গোবিন্দ সাহা, মাহাবুবুর রহমান, হেলাল উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। ভাষা শহিদদের আবার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক সাব্বির আহমেদ।
বগুড়া করোনেশন ইনস্টিটিউশন এ্যান্ড কলেজ : সকালে প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানের ভৌমিক হল রুমে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের সভাপত্বিতে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া পৌসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্তী। আরও বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তার, প্রভাষক মতিউর রহমান সাঈদ, আতিকুর রহমান নিপন, রফিকুল ইসলাম, আহসানুল হক, নাঈমুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, বিজয় চন্দ্র বর্মন, নজমুল হক, সায়লা আকতার প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধি মো. মঞ্জুরুল হক।
আদর্শ কলেজ বগুড়া : দিবসটির কর্মসূচির মধ্যে সকালে প্রভাত ফেরিরসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন, কবিতা, ছোট গল্প প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অধ্যক্ষ শেখ রাসেল দেয়ালিকা উন্মোচন করা হয়। অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জাকিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোহা. জামাল উদ্দীন আফগানী, ছদরুল হোসেন, রুকুনুজ্জামান, শাহাদাত হোসেন, ইতি রানি ভট্টাচার্য্য, মেরিনা জাহান, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, হারুনুর রশিদ, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
বগুড়া বিএড কলেজ : দিবসটিতে আলোচনা সভা কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এড. রাফিয়া আক্তার জানির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মোজাফ্ফর রহমান। এতে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
একে আজাদ স্কুল : প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সভাপতি, অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মচারীরা শহিদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কলেজের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান প্রামানিক প্রমুখ। পরে শহিদদের অঅত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ : দিবসটি উপলক্ষ্যে পলবেসরা অডিটোরিয়ামে বিষয়ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ রবাট রবিন মারান্ডীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এড. বার্নাড তমাল মন্ডল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী সদস্য অর্পনা প্রামানিক, মনি ভদ্র, অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ভিভিয়ান রিওন মারান্ডী, উপাধ্যক্ষ কাজী নাজনীন জাহান, উপাধ্যক্ষ মাইকেল আশের বেসরা প্রমুখ। শেষে প্রধান অতিথি বিষয়ভিক্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ : সকালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী সাহাবুদ্দীন সৈকতের নেতৃত্বে শহীদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং পরে বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সবশেষে ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাহবুবে সোবহানী বাপ্পী ও তাসনিম ত্রয়ী।
বগুড়া জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন সমিতি : দিবসটিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে বিকেলে সভাপতি মুফতী আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল জলিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, সহ-সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা শেখ ফরিদ উদ্দিন, হাফেজ ইউসুফ সাইফী, হাফেজ শাহীন রেজা, অধ্যক্ষ রেজাউল বারী, মাওলানা নুর আলম, মাওলানা আব্দুল হালিম, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা ইবরাহীম ফারুকী, মাওলানা আজহার আলী, মাওলানা আবু তৈয়ব, মাওলানা রায়হান আলী, মাওলানা আব্দুল আলিম, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা জিয়াউর রহমান প্রমুখ। পরিশেষে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ : প্রতিষ্ঠানের পক্ষে থকে শহিদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক নিবেদন পরবর্তীতে কলেজ ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. এসএম মিল্লাত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক ডা. হুমায়ন কবীর, কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি ডা. আবুল মুনসুর, ডা. মানছুরা খাতুন, ডা. আব্দুল মতিন, ডা. ফাহমিদা আক্তার ফেন্সি, ডা. শফিকুল ইসলাম মানিক, ডা. এএসএম সাহাবুদ্দীন আহমেদ, ডা. আব্দুল আলীম প্রমুখ।
জাতীয় শ্রমিক লীগ : সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালাম ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন আলী আশরাফ চিসতি, নজরুল ইসলাম পাইলট, আব্দুল খালেক, আলমগীর হোসেন আলম, রেজাউল করিম খান, আলতাফ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, আনিছুর রহমান, আব্দুল জলিল, তোজাম্মেল হোসেন, আব্দুল মজিদ, আজিজুল শেখ প্রমুখ।
বগুড়া সদর উপজেলা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন : সদরের ধরমপুরে ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোনোয়ার ঈসার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ আকাশের সঞ্চালনায় দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বাসেদ, আরিফুর রহমান সুমন, ইনছান আলী, রিপন মন্ডল, নজরুল ইসলাম, এনামুল হক প্রমুখ।
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) : দিবসটির প্রথম প্রহরে সারিয়াকান্দি পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাব মাঠের শহিদ বেদিতে সংসদ সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিত রাখা হয়।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন সাহাদারা মান্নান এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ কুমার বসাক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, মেয়র মতিউর রহমান মতি, এসএম মোজাহেদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দুল খালেক দুলু, ঋতু মনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী তরফদার প্রমুখ।
এদিকে সারিয়াকান্দিতে নবনির্মিত শহিদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়েছে। সকালে উপজেলার শহিদ মুক্তিযোদ্ধা মন্টু বিদ্যালয়ের বকুলতলায় প্রধান অতিথি হিসেবে শহিদ মিনারটির উদ্বোধন করেন সাহাদারা মান্নান এমপি।
আদমদীঘি (বগুড়া) : দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, থানা পুলিশ, আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে। সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন আদমদীঘি সার্কেল এএসপি নাজরান রউফ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা বেগম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী, ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী, আবু রেজা খান, নাজিমুল হুদা খন্দকার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল হামিদ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবির উদ্দীন প্রমুখ। দিবসটিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোক্তার হোসেন অসহায় আমজাদ হোসেনকে ঢেউটিন প্রদান করেন।
সান্তাহার (বগুড়া) : দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সান্তাহার পৌর শহরের ডাক বাংলো শহিদ মিনারের বেদীতে পৌর আওয়ামী লীগ, পৌর বিএনপি, জাতীয় পর্টি, ফোর এইচ ক্লাব, সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ ফাঁড়ি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, কিন্ডার গার্টেন, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
শিবগঞ্জ (বগুড়া) : দিবসটির প্রথম প্রহরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পা, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, সহকারি পুলিশ সুপার তানভীর হাসান, অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুুষ্পক স্তবক অর্পণ করা হয়। এদিকে মোশারফ মন্ডল মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল দেওয়া হলো না কলেজ চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে। এলাকার প্রভাবশালী পিযুষসহ তার লোকজন ওই কলেজের শহিদ মিনার টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখায় গতকাল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে শিক্ষকদের।
ধুনট (বগুড়া) : উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি পালিত হয়। সকালে উপজেলা পরিষদ ইছামতি হলরুমে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান।
আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুরুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্ন তারিক, পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিপাকর বসাক, ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আল আমিন হোসেন, বীর মুক্তিয়োদ্ধা এসএম ফেরদৌস আলম, ধুনট প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল আলম ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান প্রমুখ।
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) : দিবসটির প্রথম প্রহরে স্থানীয় শহিদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকালে শহিদ মিনার বেদীতে আলোচনা সভা ইউএনও জান্নাত আরা তিথির সভাপতিত্বে ও সাবেক ব্যাংকার আজিজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী, থানা অফিসার ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসহাক আলি, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রঞ্জন কুমার, শিক্ষক আনিছুল ইসলাম লিটন প্রমুখ। এ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ মন্দিরে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও দুপচাঁচিয়া প্রেসক্লাব অনুরূপ পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।
কাহালু (বগুড়া) : এ উপলক্ষে সরকারি এবং বিভিন্ন সংগঠনসমূহ পৃথক কর্মসূচী পালন করে। দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, সকালে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেরিনা আফরোজের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু মুছা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজিবর রহমান প্রমুখ। এছাড়া উপজেলা পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ দিবসটি পালন করে।
গাবতলী (বগুড়া) : রাত ১২টা এক মিনিটে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রথমে প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বন্যা শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।
এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মুক্তা ও রেকসেনা আকতারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে গাবতলী মডেল থানা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, থানা ও পৌর বিএনপি, পৌরসভা এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন পুস্পমাল্য অর্পণ করে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : একুশের প্রথম প্রহরে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ, থানা ও হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, উপজেলা জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাব, ফায়ার স্টেশন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) মো. ওমর আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রেসক্লাব সভাপতি মো. বকুল হোসেন, থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম, কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্বাস আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জামিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কালাই (জয়পুরহাট) : একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হায়াত, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াসিম আল বারি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাব মুনীশ চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র রাবেয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, কালাই প্রেসক্লাব, সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনভর নানা কমসূচীর মধ্যে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন, সুন্দরহাতের লেখা, শুদ্ধ বানান প্রতিযোগিতা ও কবিতা আবৃতি এবং শহিদ মিনারের উওর রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দলোনের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) : দিনব্যাপি কর্মসূচীর মধ্যেছিল উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্মৃতিসৌধে প্রথম প্রহরে পুষ্পকস্তবক অর্পণ করে। হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভাষা শহিদদের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল, থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান প্রমুখ। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
বাগজানা (জয়পুরহাট) : বাগজানার বাগজানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগজানা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, বাগজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগজানা ইউনিয়ন কৃষকলীগ বাগজানা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
মন্তব্য করুন