নবাবগঞ্জে হেক্টর প্রতি ১৬ মে. টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা এলাকায় চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি ১৬.৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে মুকুলে ভরে গেছে আম গাছগুলো। মুকুল আসায় আম বাগান এলাকাগুলোতে যেন প্রকৃতি এক অন্যরকম রুপধারণ করেছে।
জানা যায়, উপজেলা এলাকায় ইতোপূর্বে শুধুমাত্র নিজেদের জন্য বসতবাড়িতে আম গাছ রোপণ করা হয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে আম বাগান করেছেন। বাগানে গাছ এমনভাবে লাগানো হয়েছে যাতে এরমধ্যে অন্য ফসলও চাষাবাদের সুযোগ থাকে এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক বাগানের জমিতে অন্য ফসলও চাষাবাদ করা হচ্ছে।
উপজেলা এলাকায় যেসব আমের বাগান রয়েছে তারমধ্যে হাঁড়িভাঙ্গা, হিমসাগর, মিছরিভোগ, আম্রপালি, ল্যাংড়া, আশ্বিনা ও বারি-৪ উল্লেখযোগ্য বলে জানা গেছে। বিশেষ করে হাঁড়িভাঙ্গা আম অন্যতম। উপজেলা এলাকায় আমের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে পাইকারি দরে ট্রাক ভর্তি করে আম নিয়ে যান। আবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আম ব্যবসায়ীরা এসে বাগান মালিকদের কাছে থেকে বাগান ক্রয় করে থাকেন।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি দপ্তরের হিসাব মতে, উপজেলা এলাকায় ৯০২ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এরমধ্যে ৮৫৪ হেক্টর বাগান ও ৪৮ হেক্টর বসতবাড়িতে রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ এসব আম বাগান থেকে চলতি মৌসুমে আম উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশা করছে।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় গতবার ১৩ জন বাগানিকে ৫০ শতক জমির জন্য বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনী দেয়া হয়েছিল। যাদের মাঝে জৈব ও রাসায়নিক সারসহ বালাইনাশক বিতরণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমেও রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ৩০ জনকে কৃষক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন