বিয়ে ঠিক হওয়ায় সোনিয়াকে হত্যা করে প্রেমিক
নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা প্রবাসী প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় সোনিয়া আক্তার সুইটিকে হত্যা করেন তার পূর্বের প্রেমিক এনামুল হক। রোববার উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে অর্ধ-ঝুলন্ত অবস্থায় সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত সুইটির পিতা আব্দুস সোবান বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৫ দিনের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ।
গত শুক্রবার দুপুরে পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত আসামি মো. এনামুল হক নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে।
জানা যায়, এনামুল হকের সঙ্গে সোনিয়া আক্তার সুইটির পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ অবস্থায় ইরাক প্রবাসী শরিফুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সোনিয়ার। তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। বিষয়টি এনামুল হক মেনে নিতে না পারেনি।
পরে ১০ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনিয়া আক্তার সুইটিকে মোবাইল ফোনে রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোণে ডেকে নেয়। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে গায়ে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে সোনিয়া আক্তার সুইটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এনামুল। পরে লাশ আবুল কাশেমের বসত ঘরের সামনের খোলা বারান্দার ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
লাশ উদ্ধারের পর পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় এ হত্যা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী মো. এনামুল হককে শনাক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নিহত সোনিয়া আক্তার সুইটি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা গ্রামের আব্দুস সোবানের মেয়ে অনুমান ১ বছর যাবত বৃদ্ধ নানা-নানির সেবা করার জন্য নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামে বসবাস করতেন।
মন্তব্য করুন