কৃষির বিএস কোয়ার্টার এখন ভূতের আস্তানা
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : কৃষি বিভাগের জন্য নির্মিত কোয়ার্টারগুলো এখন ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার তিন ইউনিয়নের বিএস কোয়ার্টারগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের পাশেই আলোকঝাড়ী ইউনিয়নে দুটি ও পাকেরহাটে আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে একটি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার জরাজীর্ণ হয়ে বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে আছে। একতলা ভবনের জরাজীর্ণ ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খুলে পড়েছে।
প্রাচীরে ঘেরা চারপাশ অথচ ভেতরে জন্মেছে বড় বড় গাছ। দেওয়ালের চটা উঠে গেছে। ভবনের দরজায় মরিচা আবার অনেক জানালা ভাঙা। কোয়ার্টারে একটি বাথরুম, একটি রান্নাঘর ও দুটি কক্ষ রয়েছে। এক সময় বিএসরা বসবাস করলেও পরে তারা অবসর নিলে সব অকেজো হয়ে পড়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬২ সালের দিকে তৎকালীন সরকার ভবনগুলো প্রথমে সিড গোডাউন হিসেবে নির্মাণ করে। পরে এই কর্মসূচি বাতিল হলে সরকার সিড গোডাউনগুলো ১৯৮০ সালের দিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বসবাসের জন্য সংস্কার করে কোয়ার্টারে পরিণত করে।
মূলত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের পরামর্শ ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এখান থেকেই খুব সহজেই সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো পৌঁছে দেওয়া হতো। মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টারে থাকতেন। বর্তমান ব্লক সুপার ভাইজার (বিএস) পদের নাম পরিবর্তন করে সরকার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার (এসএএও) নামকরণ করেছেন।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হাবিবা আক্তার বলেন, ব্লক সুপারভাইজার (বিএস) কোয়ার্টারগুলো কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জায়গা। কোয়ার্টারগুলো পরিত্যক্ত থাকায় কেউ ব্যবহার করছে না। এ ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠানো হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুজ্জামান বলেন, সারাদেশের বিএস কোয়ার্টারের চিত্র একই। এটা আসলে স্থানীয়ভাবে সমাধানের বিষয় না, এটা কেন্দ্রীয়ভাবে সমস্যার সমাধান হবে। যদি কোন প্রকল্প হয়ে থাকে তাহলে মেরামত, সংস্কার ও পুন:নির্মাণ হবে।
আমরা প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করি এবং রিপোর্ট পাঠাই। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্তব্য করুন