ভিডিও

সাড়ে ২২ মণের রাজা বাবুর বিক্রয় মূল্য ৬ লাখ 

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ১২:৫৬ দুপুর
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৪, ১২:৫৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের কমলপুর নিউ টাউন এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম রুজেন ২৬ বছর যাবত গরু মোটাতাজা করে আসছেন। খামারের নিজস্ব গাভীর উৎপাদিত ফ্রিজিয়ান জাতের কয়েকটি ষাঁড় গরুর মধ্যে এবছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনি প্রস্তুত করেছেন রাজা বাবু নামের একটি গরু। সাড়ে ২২ মণ ওজনের রাজা বাবু বিক্রি হবে ৬ লাখ টাকায়।

আশরাফুল আলম রুজেন তার খামারে উৎপাদিত গরু সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করে থাকেন। দেশীয় খাবার খড়, ঘাস, ভূষি খাইয়ে গরুগুলো মোটাতাজা করা হয়েছে।

খামারি রুজেন বলেন, ২৬ বছর যাবত খামারে গরু লালন পালন করে আসছি। প্রতি বছরই কোরবানির সময় খামারের নিজস্ব গরু থেকে উৎপাদিত বড় বড় গরু মোটাতাজা করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে থাকি। এ বছর কোরবানির ঈদে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি বড় গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশীয় উপায়ে খামারে গরু লালন পালন করি। কোনো ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয় না।

তিনি বলেন, ৯০০ কেজি ওজনের রাজা বাবুকে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করবো। এরইমধ্যে অনেকে ক্রেতা রাজা বাবুকে দেখতে এসেছেন। তারা দেখে বিভিন্ন দরদাম করছেন। কেউ কেউ ৩-৪ লাখ টাকা দাম বলেছে কিন্তু এই দামে রাজা বাবুকে বিক্রি করবেন না বলে তিনি জানান।

খামারের পরিচর্যাকারী সুলতান মিয়া বলেন, আমাদের খামারের গাভীর বাচ্চা হলো রাজা বাবু। তাকে ৩ বছর যাবত খড়, ঘাস, ভূষি, ছোলা খেতে দিয়েছি। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ইনজেকশন ছাড়াই গরু লালন পালন করে মোটাতাজা করা হয়েছে। এখন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য দেশীয় খাবার দিয়ে বড় করা হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান তরফদার জানান, খামারি আশরাফুল আলম রুজেনের খামারে উৎপাদিত ফ্রিজিয়ান জাতের ৯০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় গরু কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য মোটাতাজা করেছেন। ষাঁড় গরুটির নামকরণ করেছেন রাজা বাবু। তার খামারে রাজা বাবুকে দেখতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা প্রতিদিনই ভিড় করছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS