আবারো অভিনয়ে ফিরবেন শার্লিন
নিউজ ডেস্ক: মডেল ও অভিনেত্রী শার্লিন ফারজানা।২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী ও আইটি বিশেষজ্ঞ এহসানুল হকের সঙ্গে বাগদান হয় শার্লিনের। সে বছরের ২৩ নভেম্বর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
এরপর এ অভিনেত্রী লাইমলাইটের বাইরে ছিলেন। সম্প্রতি এ দম্পতি এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যেখানে বিয়ের পরবর্তী জীবন কেমন কাটছে এ বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি শার্লিন জানিয়েছেন যে তিনি পুনরায় অভিনয়ে ফিরবেন।
সাক্ষাৎকারে শার্লিন ফারজানা বলেন, ‘একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে সে (এহসানুল হক) আমাকে প্রথম দেখেছিল। তারপর সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয় এরপর পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল, তখনও আমি রাজি ছিলাম না। তবে উনি এতটায় আমার পেছনে লেগেছিলেন যে পরবর্তীতে আমার মন জয় করার পাশাপাশি পরিবারের সবার মন জয় করে নেয়।’
তিনি বলেন, ‘মনোযোগ দিয়ে অভিনয় করার পাশাপাশি যখন পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি তখন সেটা মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। সে এখন আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তার কারণে অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। শুরুতে সে আমাকে অভিনয় শিল্পী হিসেবে দেখে পছন্দ করেছে। কিন্তু বিয়ের পরপর আমি মা হয়ে যাই; তখন সে খুব একটা চায়নি যে আমি কাজে ব্যাক করি। একটা সময় পরে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আগের মতো অভিনয়ে ফিরবো তখন সে আমাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে।’
আরও পড়ুনএ সময় এহসানুল হক বলেন, ‘আমি যে শুধু তার স্বামী তা নয় পাশাপাশি একজন বড় ভক্ত। শার্লিন ফারজানা একটা পাবলিক ফিগার বাংলাদেশের জন্য, তার হাজারটা ভক্ত রয়েছে। সে ভক্তদের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে। সেদিক থেকে তাকে সব সময় সার্পোট করি। আমি অনেক ভাগ্যবান এমন একজন বউ পেয়ে সে যেভাবে সংসারটা গুছিয়ে রাখে এটা তার অনন্য গুন। আমাদের মধ্যে রাগ হয় না যেটা হয় এক ধরনের অভিমান হয়।’
শার্লিনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সে প্রথমে আমার প্রেমিকা তারপরে বউ। পর্দার বাইরে তার অনেক গুলো ক্যারেক্টার আছে সেগুলো অনেক সুন্দর। সে খুব ভালো রান্না করতে পারে। আমি একটু ভোজন রসিক খাবারের রিভিউ দেখলে শার্লিনকে বলি চলো আমরা বাইরে থেকে খাবার খেয়ে আসি। রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পরে সে বলে বাসায় চলো তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো। এরপর বাসায় এসে সে এতো সুন্দর করে রান্না করে খাওয়ার পরে বলি রেস্টুরেন্টে কেন খরচ করে খাবো বাসাতেই খায়।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ‘ইউ গট দ্য লুক’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী হয়ে শোবিজে পথচলা শুরু করেছিলেন। এরপর বেশ কিছু নামিদামি ফ্যাশন হাউজের মডেল হয়ে নিজের উপস্থিতি প্রকাশ করেছেন। কাজ করেন বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে। এরপর অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘গ্রামীণফোন’ ও গাজী শুভ্রর ‘সিলন চা’ এর বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে রীতিমতো নতুন করে আলোচনায় চলে আসেন তিনি।
মন্তব্য করুন