ভিডিও রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

হজ প্রশিক্ষণ ও হজের প্রস্তুতি

ছবি: দৈনিক করতোয়া

চলতি বছরের হজের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর সরকারিভাবে ৪,৩০৪ জন এবং বেসরকারি ভাবে ৭৮,৯৯৫ জন হজব্রত পালন করবে। ১৪৪৫ হিজরি সনে ২০২৪ খ্রিষ্ট বর্ষে পবিত্র হজব্রত পালনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষের দিকে।

গোটা বিশ্বে করোনা মহামারির কারণে গত ২০২০ ও ২০২১ সালের সৌদি আরবের বাহিরের  দেশ থেকে হজ পালন নিষিদ্ধ ছিল গত ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৫৮ হাজার হাজীসহ বিভিন্ন দেশের দশ লক্ষাধিক মুসলমান হজ পালন করলেও গত বছর ২০২৩ সালে সর্বাধিক স্মরণকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক হাজীগণ হজব্রত পালন করেছেন। হজ ইসলামের পঞ্চম রুকন।

এটি একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। মূলত বিশ্ব মুসলিমের সর্বকালের সর্ববৃহৎ ইসলামি মহাসম্মেলন হলো হজ। হজ মুসলিম জাতির সামাজিক, রাজনৈতিক, আধ্যাত্মিক ঐক্য এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও মমত্ববোধের এক প্রকৃষ্ট নিদর্শন।

মনে পরে বিগত ২০১৫ সালে স্ত্রী সিফাতি জোয়ারিয়া ও চার বছরের শিশুপুত্র সিরাতুন নূর ও শাশুরি উম্মে রুম্মানকে নিয়ে এবং ২০১৪ সালে শ্রদ্ধেয় মা সৈয়দা নুর জাহান খানম কে নিয়ে হজব্রত পালন এবং গত ২০১৯ ও করোনা পরবর্তী ২০২২ ও ২০২৩ সালে ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি হজ গাইড হিসাবে সৌদিআরবের দায়িত্ব পালনের  মাধ্যমে গত ০৫ বছরে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে সেই আলোকেই মূলত এই নিবন্ধন। কারণ আমাদের দেশের হাজীগণ অনেকে হজ নিয়ম নীতি জানে না। ফলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

করোনা পরবর্তী খুব অল্প সময়ের নোটিশে বাংলাদেশ থেকে প্রায় আটান্ন হাজার মুসলিম হজব্রত পালন করেছে। মক্কা মদিনা, মিনা, আরাফা, মুজদালিফায় খুব পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠ হজ ব্যবস্থাপনা ছিল লক্ষনীয়, সরকারী হজ গাইড হিসেবে লক্ষ্য করেছি যে বিগত বছরের চেয়ে ২০২২ সালে হজে বড় ধরনের কোন জটিলতা ছিল না। বিমান সিডিউল ছিল প্রায় স্বাভাবিক। ২০২২ সালে ট্রেন সুবিধা না থাকলেও ২০২৩ সালে ট্রেন সুবিধা ছিল:। ফলে মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ও জামারায় যাতায়াতের কোন সমস্যা হয়নি। সরকারি ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। 

হজ যাদের ওপর ওয়াজিব: হজ ওই সকল মুসলিম ব্যক্তির ওপর ফরজ যার পবিত্র মক্কা মদিনায় যাতায়াত ও হজের কাজ সম্পাদন করার মতো আর্থিক ও দৈহিক সামর্থ্য রয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেছেন-“মানুষের মধ্যে যার সেখানে (আল্লাহর ঘরে) যাওয়ার সামর্থ্য আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ করা তার জন্য অবশ্য কর্তব্য।”(সূরা আলে ইমরান: ৯৭) উদ্ধৃত আয়াতে ‘মানইসতাতায়া’ শব্দটির বিশদ ব্যাখ্যা করে তাফসির ও ফিকহশাস্ত্রবিদগণ বলেন, নিম্নোক্ত শর্তাবলি যার মাঝে বিদ্যমান থাকবে তার ওপর হজ ওয়াজিব। যেমন-
১.  মুসলমান হওয়া।

২. স্বাধীন হওয়া।

৩. প্রাপ্তবয়স্ক ও স্থির মস্তিষ্ক হওয়া।

৪. সুস্থ ও জ্ঞানবান হওয়া।

৫. দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন হওয়া।

৬. পথ খরচ থাকা।

৭. হজে আসা যাওয়ার পথ নিরাপদ হওয়া, শত্রুমুক্ত হওয়া এবং রাষ্ট্রীয় কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকা।

৮. মহিলাদের সাথে স্বামী বা কোনো মহররম পুরুষ থাকা। অর্থাৎ এমন পুরুষ যার সাথে ওই মহিলার বিয়ে হারাম।

৯. যানবাহনের সুবিধা থাকা। হজের সময়ঃ  আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “হজের মাস সমূহ সুবিদিত।” (সূরা বাকারা: ১৯৭) ইমাম বুখারি (রা.) বর্ণনা করেন যে- হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) বলেন, হজ্বের মাস সমূহ হচ্ছে শাওয়াল, যিলক্বদ এবং যিলহজ্বের প্রথম ১০ দিন।

হজ্ব তিন প্রকার। ইফরাত, তামাত্তু, কিরান।


হজের ফরজ 
১. ইহরাম বাঁধা।

২. উকূফে আরাফা অর্থাৎ ৯ জিলহজ জোহরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামান্য সময়ের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করা।

৩. তাওয়াফে জিয়ারত করা। অর্থাৎ ১০ জিলহজ্ব থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হজের তাওয়াফ করা।

(খ) হজের ওয়াজিব :


১.    ৯ জিলহজ রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করা;
২.    সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’য়ী করা;
৩.    নির্দিষ্ট দিনগুলোতে জামারাতে (শয়তানকে) কংকর মারা;
৪.    কিরান বা তামাত্তু হজকারীর জন্য (দমে শুকুর) কুরবানি করা;
৫.    হালাল হওয়ার জন্য মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাঁটা।
৬.    মীকাতের বাহির থেকে আগমনকারীদের জন্য বিদায়ী তাওয়াফ করা।


বিগত ২০১৭ সাল থেকে সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জেলায় জেলায় হজে গমন ইচ্ছুকদের নিয়ে বিশেষ হজ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। যা প্রশংসার দাবি রাখে। আমি ২০১৯ হজ ও ২০২৩ প্রশিক্ষণটটের সদস্য হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। যেহেতু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ তামাত্তু হজ পালন করে সেহেতু এ বিষয়ে বেশি দৃষ্টি রাখছি।


তামাত্তু হজ পালনকারীদের প্রথম উমরায় করণীয় কর্তব্যঃ

ইহরামের কাপড় পরিধান - দুই রাকাত নামাজ আদায় ও উমরার নিয়ত করে, আল্লাহর তাওহীদ সম্বলিত নিম্নের তালবিয়া পাঠ করতে হবে-(মনে রাখবেন এই তালবিয়াটি প্রতিবার কমপক্ষে তিনবার পাঠ করবেন।
“লাব্বাআইকা আল্লাহুম্মা লাব্বআইকা, লাব্বআইকা লা শারীকা লাকা লাব্বআইকা, ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নি’মাতা লাকা ওয়াল-মূলক, লা শারীকা লাকা।”
অর্থঃ  আমি তোমার দরবারে হাজির হয়েছি হে আল্লাহ, আমি তোমার দরবারে হাজির, আমি তোমার দরবার হাজির, তোমার কোন শরিক নাই, আমি তোমার দরবারে উপস্থিত। নিশ্চিত সমস্ত প্রশংসা, নি’আমত তোমারই এবং সমগ্র রাজত্ব তোমার, তোমার কোন শরীক নাই।”

এরপর তাওয়াফ শুরু করার পূর্বমুহূর্তে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে সাত বার কা‘বাঘর তাওয়াফ করুন-তিনবার দ্রুতগতিতে এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে। এরপর বায়তুল্লাকে সামনে রেখে (সম্ভব হলে মাকামে ইব্রাহীমে এসে) এই আয়াত তিলাওয়াত করুন -
“ওয়াত্তাখিযূ মিম মাক্বা-মি ইব্রা-হীমা মুছাল্লান”(সূরা বাকারা: ১২৫) এরপর দুই রাকাত সালাত আদায় করতে হয়।

আরও পড়ুন

অত:পর সাফা পাহাড়ের উপরে উঠে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর একত্ব ও মহত্ব ঘোষণা করুন এবং সাফা থেকে মারওয়া পাহাড় দ্বয় সাত চক্কর দৌড়ানো - এবং সর্বশেষ তাওয়াফে যখন মারওয়া পাহাড়ে উঠবেন এরপর মাথা মুন্ডিয়ে অথবা চুল ছেটে ফেলবেন এবং উমরার ইহরাম থেকে হালাল হবেন।

উমরা শেষ হলে হজের পূর্ব পর্যন্ত নিয়মিত তাওয়াফ করা অত্যন্ত ফজিলতের কাজ। মনে রাখতে হবে প্রতিবার সাত চক্কর দিতে হব। এরপর মক্কার হোটেল/বাড়ি হতে হজের ইহরাম বেধে ৮ই জিলহজে মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে হজের ফরজ ও ওয়াজিব পালনের মাধ্যমে হজের কাজ শেষ হবে। 

৩) হজের ফযিলত সম্পর্কে কয়েকটি হাদীস : 
রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য হ্জ করল এবং হজ পালনে কোন প্রকার অশ্লীল কথা বলে নাই, কোন প্রকার পাপাচার করে নাই সে যেন সদ্য প্রসূত শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরল। (বোখারী মুসলিম) হজ পালনকারী কখনোই  গরীব হয় না। (তিরমিযী)

এক উমরা আদায়ের পর কোন ছোট খাট পাপ হয়ে থাকলে দ্বিতীয় উমরা উক্ত পাপের বিনিময় হয়ে যায়। আর কবুল হজ্বের বিনিময় বেহেশত ছাড়া আর কিছুই নহে (বোখারী মুসলিম)। (তারগীব)


যে ব্যক্তি হজ্বে অথবা উমরার নিয়তে রওয়ানা হয়ে পথিমধ্যে মারা গেল, তিনি কোন প্রকার জবাবদিহি ও হিসাবের সম্মুখীন হবেন না। তাকে বলা হবে বেহেশতে চলে যাও। (বাইহাকী)


রাসূল (সা.) হজ্ব পালনকারীর জন্য দোআ করবেন “হে আল্লাহ! তুমি হজ্বকারিকে ক্ষমা করে দাও এবং তিনি যাদের জন্য সুপারিশ করবেন তাদেরকেও ক্ষমা করে দাও।” (মিশকাত)

হজ্বের প্রস্তুতির জন্য কতিপয় নির্দেশনা :
প্রাক-নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (ঘওউ) এবং নিবন্ধনের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (গজচ) থাকতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হজ্বের দিন হতে পরবর্তী ন্যূনতম ৬ মাস থাকতে হবে। মহিলা হজযাত্রী কেবলমাত্র শরিয়তসম্মত মাহরাম অবশ্যই সাথে রাখবেন। সরকররি ব্যবস্থাপনার হজ্বযাত্রীকে হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ্বযাত্রীকে অনুমোদিত হজ এজেন্সীর মাধ্যম সৌদি দূতবাস হতে ইস্যুকৃত হজ ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।

বিমান টিকিট, পাসপোর্ট, হেলথ কার্ড ও বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি অবশ্যই হজযাত্রীর নিজের কাছে সাবধানে রাখতে হবে। সৌদি আরবে আইডি কার্ড, কব্জিবেল্ট, মোয়াল্লেম কার্ড, হোটেলের কার্ড ইত্যাদি সার্বক্ষণিক শরীরের সাথে বেঁধে রাখতে হবে; যাতে হজযাত্রী হারিয়ে গেলে বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে (আইডি কার্ড, কব্জিবেল্ট, হোটেলের কার্ড) দেখে সহজে সনাক্ত করা যায়।

বেসককারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর ট্রলিব্যাগে হজ্বযাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোয়াল্লেম নম্বর, হজ এজেন্সীর নাম, লাইসেন্স নম্বর এবং সৌদি আরবে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সীর প্রতিনিধির মোবাইল নম্বরসহ ঠিকানা ইংরেজীতে লেখা বাধ্যতামূলক।

প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ কোন ক্রনিকরোগী প্রেসক্রিপসনসহ অবশ্যই ৫০ দিনের ঔষধ সঙ্গে বহন করবেন। প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র বহনের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

ব্যাগ/লাগেজে কিংবা কারো নিকট সামান্যতম কোন প্রকার মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে সৌদি আইন অনুযায়ী শাস্তিভোগ করতে হবে।

সৌদি আরবে হজযাত্রীর অবস্থানকাল সর্বোচ্চ ৪৫ দিন। এয়ারলাইন্স কর্তক হজযাত্রীর ফিরতি ফ্লাইটের বোডিং পাস বাংলাদেশেই প্রদান করা হবে। কোন হজযাত্রী বোডিং পাস হারিয়ে ফেললে (ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে) বাংলাদেশ হজ্ব অফিস, মক্কা/মদিনা/জেদ্দার প্রত্যয়ন সাপেক্ষে ডুপ্লিকেট বোডিং পাস ইস্যু করা হবে।

মদিনা-আল-মুনাওয়ারা থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় জুল-হুলাইফা মিকাতে ইহরাম পরিধান ও নিয়তের জন্য সময় নষ্ট করা যাবে না বরং ইসলামী শরীয়তমতে বাসা থেকে গোসল করে ইহরাম পরিধান করে আসতে হবে এবং মিকাতে এসে নামাজ আদায়পূর্বক নিয়ত করতে হবে।

মক্কা ও মদিনা-আল-মুনাওয়ারার ঐতিহাসিক পবিত্র স্থানসমূহ জিয়ারতের জন্য নির্দিষ্ট হজ্বযাত্রী নিয়ে আদিল্লা অফিসের মাধ্যমে যেতে হবে নতুবা কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা অনির্দিষ্টস্থানে নিয়ে যেতে পারে। সরকারী হজ গাইডগণ জিয়ারায় সহযোগিতা করবেন। তবে হাজী গণ খরচ বহন করবেন।

১.  সৌদি আরবে পৌঁছে মোবাইলের সিম সংগ্রহ করা একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সহজে সিমকার্ড পেতে আপনাকে পাসপোর্টের পিছনে লাগানো নাম্বর/কোড অবশ্যই আপনার সাথে রাখতে হবে।অবশ্য সিম সংগ্রহ করে মোবাইল সাথে রাখতে হবে তাহলে হারানোর সম্ভাবনা কম।

২. হজ  সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি সরকার কর্র্তৃক জারীকৃত সকল বিধি বিধান হজযাত্রী ও সকল এজেন্সী মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। হজ সংক্রান্ত যে কোন জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা ও সৌদি আরবস্থ (মক্কা/মদিনা/জেদ্দা) হজ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

অবশ্য গত বছরের ন্যায় এ বছরও হজ্বের জন্য সৌদি ভিসা সহজীকরণের লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকা থেকে বায়োমেট্টিক্স পদ্ধতিতে পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

পরিশেষে এ কথা সংশয়াতীতভাবে প্রমানিত যে, হজ এমন একটি ইবাদত, যার ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও শিক্ষার তুলনা নেই। পৃথিবীর কোণে কোণে ইসলামের শান্তির বার্তা পৌছানোর জন্য এতদপেক্ষা শক্তিশালী উপায় আর হতে পারে না।

সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, শান্তিশৃঙ্গলা, খোদা প্রেম, একক লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধকরণ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হজের ভূমিকার বিকল্প নেই। মহান আল্লাহ আমাদেরকে বারবার খানায়ে কাবা তাওয়াফ ও রাসুলের (সা:) রওজায় সালাম করার তওফিক দান করুন।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল হজ যাত্রী সুস্থ ও সুন্দরভাবে হজ্বব্রত পালন সহজ করে দিন। মহান আল্লাহ সকলকে হজে মাবরুর দান করুন আমিন।


লেখক : ইসলামি কথা সাহিত্যিক এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক
সরকারী হজ্ব গাইড ও ০২ বার প্রশিক্ষণ টটের সদস্য

mostakimbogra@gmail.com

01712-777058

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেখা না দিলে বন্ধু, কথা কইয়ো না 

হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট

সারা দেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে মিললো ৯ গ্রেনেড

জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েতের ডাক