প্রথম টেস্টের পর সাকিবের ভাগ্য নির্ধারণ
স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পর তাকে জাতীয় দল থেকে বাদে দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) এক সভায় বসেন বিসিবি’র কর্তারা। সভায় সাকিবের বিষয়টি ছাড়াও স্ট্যান্ডিং কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন একটা মামলা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশটা আমরা এখনও পাইনি । ওটার ব্যাপারে বলতে পারবো না। মামলাটা এফআইআর হয়েছে, এরপর তদন্ত হবে। তারপর একটা দিকে যাবে মামলাটা।
এই মুহূর্তে যেহেতু টেস্ট ম্যাচ চলছে, কালকে টেস্টের ফিফথ ডে। তাই আমরা কোনো স্ট্যান্স নেওয়ার চিন্তা করিনি। কালকের ম্যাচ শেষ হলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবো।’ সাকিবের বিষয়টার সঙ্গে ছাত্র-জনতা আন্দোলনের ব্যাপারটা জড়িত। সেটাও মনে করিয়ে দিলেন ফারুক, ‘এটা তো নরমাল একটা ব্যাপার। এফআইর যখন হয়, এটার বিরুদ্ধে কিন্তু চার্জ গঠন হয়নি। এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। বেশ কিছুদিন আগে বিশাল গণ্ডগোল হয়েছে, অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। সহমর্মিতা এখনও আছে আমাদের, আমরা কিন্তু ভুলে যাইনি।’
বর্তমানে খেলার মধ্যে রয়েছেন সাকিব। তাই এই মুহূর্তে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন মনে করছে না বিসিবি। সব দেখেশুনে সিদ্ধান্ত আসবে জানিয়ে ফারুক আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে টেস্ট ম্যাচ চলছে। বিসিবি’র সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক খেলোয়াড় এবং ইমপ্লোয়ি বলতে পারেন। কালকের দিনটা দেখে এরপর সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। এখন খেলতে বাধা নেই।’
আরও পড়ুনএর আগে, হত্যা মামলার আসামি ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবকে জাতীয় দল থেকে অপসারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃপক্ষকে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে নোটিশে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম এ নোটিশ পাঠান। এই আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, সাকিবের বিরুদ্ধে যেহেতু ক্রিমিনাল মামলা রেকর্ড হয়েছে তাই তিনি আইসিসি’র আইন অনুযায়ী জাতীয় ক্রিকেট দলে থাকতে পারেন না। তাকে ক্রিকেট দল থেকে অবিলম্বে অপসারণ করা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন