প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা, বিয়ের চার মাস পর স্বামীর সর্বস্ব নিয়ে উধাও স্ত্রী
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের চার মাস পর বিপুল হোসেন নামে এক যুবকের বাসা থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা ও গহনাসহ সর্বস্ব নিয়ে উধাও হয়েছে এক নারী। অভিযুক্ত মিথিলা আক্তার মুক্তা (৩৬) নামের ওই নারী আগের স্বামীর যোগসাজশে এমন কাজ করেছে বলে জানা গেছে।
এর একদিন পরই বিপুলকে তালাকনামা পাঠিয়েছে মিথিলা। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের বেনাপোল এলাকায়। এ ঘটনায় গত ২৭ অক্টোবর বিপুল হোসেন বাদি হয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা সদর এলাকার মিথিলা আক্তার মুক্তা, তার আগের স্বামী জাফর ইমাম সাগর ও শ্বশুর জাফরুল ইমামের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে প্রতারণা ও চুরি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদির দায়ের করা অভিযোাগটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশ যশোরকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। বাদি বিপুল হোসেন সান্তাহারের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মামলা সূত্রে জনা যায়, বেনাপোলের বিপুল হোসেনের সাথে মিথিলা আক্তার মুক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় ও তাদের মধ্যে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ২৩ জুন যশোরে এক লাখ টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন।
এভাবে সংসার করাকালে গত ৬ অক্টোবর আত্মীয়ের পরিচয়ে মিথিলার আগের স্বামী ও শ্বশুর বিপুল হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে মিথিলার বাবা স্ট্রোক করে ঢাকায় মরণাপন্ন রয়েছেন এমন কথা বলে মিথিলা বিপুল হোসেনের কাছে থেকে এক লাখ টাকা নেন এবং গোপনে আলমারি থেকে আরও এক লাখ ১৬ হাজার টাকা ও গহনা নিয়ে তার আত্মীয় পরিচয়ে যাওয়া আগের স্বামীর সাথে চলে আসেন। এর পরদিন ৭ অক্টোবর বিপুল হোসেনকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুনবিপুল হোসেন জানান, তিনি মিথিলার খোঁজে পাঁচবিবি এসে জানতে পারেন মিথিলা আক্তার মুক্তা অপর বিবাদিদের যোগসাজশে পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক বিয়ে করার পর তাদের মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে তালাকনামা পাঠিয়ে প্রতারণা করেন। তার দুই সন্তান রয়েছে। বিষয়টি জানার পর মিথিলা আক্তার মুক্তা, তার আগের স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে এই প্রতারণা মামলাটি করেন।
মিথিলা আক্তার মুক্তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার শ্বশুর জাফরুল ইমাম জানান, তার ছেলের স্ত্রী মিথিলা আক্তার মুক্তার ঘটনাটি তিনি শুনেছেন এবং যশোর আদালতে মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন