গ্যাস সংকটে বন্ধ যমুনা সার কারখানা, নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রপাতি
নিউজ ডেস্ক: গ্যাস সরবরাহ না থাকায় বন্ধ রয়েছে জামালপুরের যমুনা সার কারখানা। গ্যাস সংকটে ১০ মাস ধরে বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে কারখানার মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ।
এদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকায় কর্মহীন মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের বৃহৎ যমুনা সার কারখানা ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। দৈনিক উৎপাদিত হতো এক হাজার ৭০০ টন দানাদার ইউরিয়া। তবে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝির দিকে গ্যাস সংকটে বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি। এতে কারখানার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় চার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে বেকার জীবনযাপন করছেন।
জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের ২১টি জেলার ১৬২টি উপজেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) প্রায় দুই হাজার ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করে থাকে যমুনা সার কারখানা।
আরও পড়ুনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা লোকসান গুনছে। সার আমদানিতে সরকারকেও দিতে হচ্ছে মোটা অংকের ভর্তুকি।
এ বিষয়ে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কারখানার মেশিনগুলো অত্যাধুনিক। যদি কারখানা বন্ধ থাকে তাহলে বাতাসের সঙ্গে যেসব ধূলিকণা থাকে, সেসব ধূলিকণাও মেশিনগুলোর জন্য ক্ষতিকর। এগুলো ক্ষয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটা মেশিন বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর চালু করার সময় অনেক রকমের সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে প্ল্যান্ট প্রিজারভেশন করা কঠিন হয়ে যায়। যদি প্রিজারভেশন করতে ব্যর্থ হই সেক্ষেত্রে অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে খুব শিগগির কারখানা চালু হবে বলে আশা করেন তিনি।
মন্তব্য করুন