ভিডিও বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

নওগাঁর আত্রাইয়ে খেজুরগুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছি

নওগাঁর আত্রাইয়ে খেজুরগুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছি, ছবি: দৈনিক করতোয়া

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে খেজুর রসের লালি ও গুড় তৈরি শুরু করেছেন গাছিরা। শীতের আমেজের সাথে খেজুরের লালি ও গুড়ের কদর বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরু থেকেই গাছিরা প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন খেজুর রসের লালি ও গুড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের পূর্বমাঠ সংলগ্ন স্থানে বেশ কিছু খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করেছেন গাছিরা। এক সময় এলাকার লোকজনই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করলেও এখন এসব গাছ চুক্তি ভিত্তিতে দেয়া হয় অন্য এলাকার গাছিদের। শাহাগোলা গ্রামের প্রায় দুইশত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পান্নাপাড়া সোনাদহ গ্রামের জাহিদ হোসেন (৫৬), লিটন (৪০) ও বিলুল (৪৫)।

গাছি জাহিদ দৈনিক করতোয়াকে জানান, তাদের এলাকার অনেক গাছি শীত মৌসুমে এ এলাকায় খেজুর রস সংগ্রহের জন্য এসে থাকেন। এবারেও অনেকেই এসেছেন। তারা তিনজন শাহাগোলা গ্রামের খেজুর গাছ চুক্তি ভিত্তিক মালিকের কাছ থেকে নিয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় দুইশত খেজুর গাছ থেকে ৬/৭ মণ রস নামে। এ রস জাল করলে প্রায় দেড়মণ গুড় হয়। গুড়গুলো নওগাঁসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ আসে তাতে তারা খুশি। শীত মৌসুমের শুরুর দিক নভেম্বর মাস থেকে মার্চ এপ্রিল ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়। আর এ রস জাল করে লালি বা গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রির অর্থ দিয়ে প্রায় সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।

আরও পড়ুন

শাগাগোলা গ্রামের আব্দুর রহমান লিটন বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি আমাদের এলাকার গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারে রস বিক্রি করতো। এখন কালের বিবর্তনে এলাকার গাছিরা আর খেজুর রস সংগ্রহ করে না। গাছগুলো বছের পর বছর পরিত্যক্ত থাকতো। গত কয়েক বছর থেকে অন্য এলাকার গাছিদের কাছে আমরা চুক্তি ভিত্তিক গাছগুলো দিয়ে দিয়ে দিচ্ছি। এতে করে গাছগুলোরও পরিচর্যা হচ্ছে আবার বাড়তি অর্থও আমরা পাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট

ফেসবুকজুড়ে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ 

গাজা ও লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ১০৭

কপ২৯ সম্মেলনে আজ ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

পুলিশে ঊর্ধ্বতন ২৮ কর্মকর্তাকে বদলি

সেতু মেরামতের আশায় বীরগঞ্জের ৬ গ্রামের মানুষ