স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা : রিজভী
সঙ্গী, সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে তারা নূর হোসেন দিবসে ঢাকা শহর নাকি উতাল-পাতাল করে দিবেন, ওই দিন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি মিছিল করেছে ওদের মতো তো মোড়ে মোড়ে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেয়নি, তারপরও তো ওদের কোথাও দেখা যায়নি। কই যুবলীগ? কই ছাত্রলীগ? কারণ শেখ হাসিনা তাদেরকে লুটপাটের জন্য তৈরি করেছিলেন। ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদেরকে বলেছিলেন, তোরা যত পারোস লুটপাট কর কিন্তু বিএনপিকে বের হতে দিবি না, বের হলেই হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বি। এটাই ছিল শেখ হাসিনার নীতি। তার পরিণাম হয় ভয়াবহ তাই হয়েছে। সঙ্গী, সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় জুলাই গণআন্দোলনে চক্ষু হারানো, চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের চক্ষু সেবার উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আপনার মতো একজন রক্তপিপাসু, নরঘাতক এক নায়কের আর এই দেশে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কোন সুযোগ নেই। আপনি শিশুদের রক্ত পান করা একজন রক্তপিপাসু নারী। আপনি যে পাপ করেছেন, যে হত্যালীলা চালিয়েছেন এর জন্য হয় আল্লাহর কাছে মাফ চান, না হলে শয়তানের মতো চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়ে থাকবেন। বিএনপি’র এই নেতা আরও বলেন, এই শেখ হাসিনা শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জিম্মি করে দিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে। এখন জনগণের একটাই দাবি শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছে সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক। তিনি দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন তার প্রমান তো আমরা দেখতে পাই।
আরও পড়ুনরিজভী বলেন, আমরা বলেছি যে মার্কেটগুলো এখনও আওয়ামী সিন্ডিকেটের কাছে, বাজারগুলো এখনো তাদের সিন্ডিকেটের কাছে। আপনারা কী তাদের একজন লোককে ধরেছেন? একটা লোককে গ্রেফতার করেছেন? অথচ আপনারা শুল্ক কমিয়েছেন তারপরও তো পেঁয়াজের দাম কমে না, তারপরও তো আলুর দাম কমে না, চিনির দাম কমে না, আটার দাম কমে না, সোয়াবিন তেলের দাম কমে না। কারণ এগুলো ইমপোর্ট করতে হয়। দাম কমানোর জন্য আপনারা শুল্ক কমিয়েছেন তারপরও কী দাম কমছে? কমছে না কারণ সিন্ডিকেটবাজদেরকে আপনারা গ্রেফতার করতে পারেননি। এই বিষয়গুলো আপনারা যদি না দেখেন পরাজিত ফ্যাসিস্টরা তারা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দিবে ভূত-পেত্নীর মতো আওয়াজ দিচ্ছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, বিএনপি’র সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন