‘নতুন ধানে ভাত রেঁধেছি’ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বগুড়ায় নবান্ন উৎসব পালন
স্টাফ রিপোর্টার : পহেলা অগ্রহায়ণ মানেই বাঙালি বাড়িতে উৎসবের আমেজ। আবহমান এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পহেলা অগ্রহায়ণ দিনটি নবান্ন উৎসব হিসেবে পালন করে আসছে এ দেশের কৃষিতান্ত্রিক পরিবারগুলো। কৃষিভিত্তিক সভ্যতার পুরো ভাগে থাকা এই নবান্ন উৎসব অনাদিকাল থেকে বাঙালির জীবন অধিকার করে আছে। নতুন ধান থেকে পাওয়া চালে হয় নবান্ন উৎসব।
হিন্দু লোককথায় এদিনকে বলা হয়ে থাকে বার্ষিক মাঙ্গলিক দিন। নতুন আমন চালের ভাত বিবিধ ব্যঞ্জনে অন্নাহার, পিঠেপুলির উৎসবের আনন্দে মুখর হয় জনপদ। গ্রামের মতো শহরেও বিশেষ করে ১৯৯৮ সাল থেকে রাজধানী ঢাকা শহরে আনুষ্ঠানিক নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা ক’জন শিল্পী গোষ্ঠী ও ঋদ্ধ সৃজন’র আয়োজনে নবান্ন উৎসব ‘নতুন ধানে ভাত রেঁধেছি’ অনুষ্ঠান আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে শহরের পুরাতন শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি লায়ন আব্দুল মোবিন জিন্নাহর সভাপতি অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে নবান্ন উৎসবে আমরা ক’জন শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মুখে চিড়া, মলা, মুড়ি, মুড়কি, মোয়া, খৈই, শীতের পিঠা তুলে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
আরও পড়ুননবান্ন কথন পর্বে অংশগ্রহণ করেন আমরা ক’জন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইতিহাস বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক শাহজাহান আলী, সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লতা পারভিন, সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাধন কুমার দেবনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবির, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণা তরফদার, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক কৃষ্ণ কুমার শীল প্রমুখ।
নবান্ন উৎসবে মাহাবুব হাসান সোহাগের নৃত্য পরিকল্পনা ও পরিচালনায় আমরা ক’জন শিল্পী গোষ্ঠী ও ঋদ্ধ সৃজন’র শিল্পীদের পরিবেশনায় বাংলার লোকজো গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে আগত দর্শক ও অতিথিদের অনুষ্ঠান শেষে নবান্নর খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তাসনিম ত্রয়ী ও পুষ্পিতা।
মন্তব্য করুন