এখন মুলার অনেক কদর
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : সবজি হিসেবে মুলার অনেক কদর রয়েছে এ বছর। চাষাবাদের উপর নির্ভর করে এ সবজির চাহিদা। বর্ষা মৌসুমের শেষ পর্যায়ে অতিবৃষ্টি এবং বন্যায় হাটবাজারে প্রচুর চাহিদা বেড়েছে মুলার। ভালো দাম পাওয়ায় অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও আনন্দের সাথে চাষিরা মুলার আবাদ করছে।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর বালু চর ঘুরে কথা হয় চাষিদের সাথে। তারা বলেন, এ বছর মুলার আবাদ কম হয়েছে। বর্তমানে জমি থেকেই ১২শ’ টাকা দরে প্রতি মণ মুলা বিক্রি হচ্ছে। ফলে মুলা চাষ করে এবার হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
কুয়াতপুর হামিদপুর গ্রামের মর্তুজা মিয়া জানান, গত বছর মুলার গড়াগড়ি ছিল। সেই কারনে এ বছর আবাদ কম করা হয়েছে। মরিচ, টমেটো, আলু, মিষ্টি কুমড়াসহ অনেক সবজির সাথে মুলার চাষ করা হয়। বিশেষ করে চরে মুলার ফলন অনেক ভাল হয়ে থাকে।
একই এলাকার শামীম মিয়া বলেন, পাইকাররা প্রতিদিন এসে মুলা কিনছে। এতে সময় বাঁচে এবং হাটবাজারে যেতে হয় না। এখান থেকে মুলা কিনে পাইকাররা ট্রাকযোগে ঢাকাসহ বিভিন্ন মোকামে প্রেরণ করেন।
আরও পড়ুনপাইকারি ব্যবসায়ী হাফিজার রহমান জানান, হাটে মুলা যে দরে বিক্রি হয় তার চেয়ে ১শ’ টাকা কমে এখানে কেনা যায়। পাইকারি আড়ৎগুলোতে এই সবজির চাহিদা প্রচুর এবং দামেও বেশি পাওয়া যায়।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৫৬ হেক্টর জমিতে মুলার চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের মুলা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদী এ সবজি চাষে খরচ কম আবার সাথী ফসল হিসেবেও এটি চাষ করা যায়।
মন্তব্য করুন