রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গবাদিপশুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আহত ১২
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গবাদিপশুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের নগরবন্দ এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
আহতদের রাত ১০টায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আহতরা হলেন- নগরবন্দ গ্রামের আলেফ মিয়া (৪০), রুবেল মিয়া (২১), হাজেরা বেগম (৬৫), হজরত আলী (২৪), আমিনুর ইসলাম (৬৭), জহুরা বেগম কল্পনা (৩৬), আলেমা বেগম (৬০), জেসমিন খাতুন (২৩), সাজে বেগম (৩৮), সুইটি (৪০), আলমগীর (৪৫) ও কুদ্দুস মিয়া (১৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরবন্দ গ্রামের হাসেন আলীর বাড়ির উঠানে ধানের খড়ের গাদার কিছু খড় পাশের বাড়ির আলেফ মিয়ার একটি গরুর বাছুর খেয়ে ফেলে।
এটা দেখে হাসেন আলীর স্ত্রী সুইটি বেগম আলেফ মিয়ার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আলেফ মিয়ার স্ত্রী পাল্টা বকাবাকি করলে ঝাড়ু হাতে তাকে মারার জন্য সুইটি তাদের বাড়ির উঠানে যায়। তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলেফ মিয়ার ছেলে লাঠি দিয়ে সুইটির মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সুইটি বেগম।
আরও পড়ুনএসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে আরও ১১ জন আহত হন। এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আলেফ মিয়ার পরিবারকে তাদের বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তাদের উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীকে খবর দেয় তারা। এরপর সেনাবাহিনীর একটি দল পুলিশসহ তাদের উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত ৭ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ পরিবারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে পরিবারটির লোকজনকে উদ্ধার করতে হয়। দুই পক্ষের প্রায় ১২-১৩ জন আহত হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন