ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখব : প্রধান উপদেষ্টা

সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখব : প্রধান উপদেষ্টা, ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। আমরা এখন থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এই দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সকল ক্ষমতার উৎস হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। দেশের মানুষকে ধর্ম ও মতাদর্শের ভেদাভেদ ভুলে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হবে, কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হব না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারও ওপরে না এবং কেউ কারও নিচে না। এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ড. ইউনূস বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেন মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে, আমাদের সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। 

এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধান উপদেষ্টাকে সালাম জানান। এসময়  বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। প্রধান উপদেষ্টা সেখানে রাখা দর্শনার্থীদের বইয়েও স্বাক্ষর করেন। এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেখানে তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক হামলা চালায়। স্বাধীনতার পর থেকে এই ঐতিহাসিক দিনটিকে প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আরও পড়ুন

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদে দুই ব্যবসায়ীর জরিমানা

আড়াইহাজারে অস্ত্রসহ ডাকাত আটক

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

নীলফামারীতে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত দু’জনকে আসামি করে মামলা কর্মবিরতি অব্যাহত

বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারসহ ১৬ ভারতীয় জেলে আটক

বগুড়ায় হত্যা মামলায় ফাঁপোড় ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী গ্রেপ্তার