সিরাজগঞ্জে তুলা চাষাবাদে লাভের আশা চাষিদের
জয়নাল আবেদীন জয়, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের সদর, কামারখন্দ ও রায়গঞ্জ উপজেলায় এবার তুলা চাষাবাদের পরিধি বেড়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রণোদনায় গতবছরের চেয়ে এ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে গাছে গাছে ধরেছে প্রচুর তুলা। চাষিরা বলছেন অল্প খরচে এর মাধ্যমে তারা লাভের আশা করছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অনেক এলাকার মাঠে মাঠে প্রতিবছর তুলা চাষাবাদ করেন কৃষকরা। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ধান, পাট, ভুট্টা, তিল ফসল তোলার পর একই জমিতে এ চাষাবাদ করা যায়। ফলে পতিত জমি কাজে লাগিয়ে এ চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষকরা বাড়তি আয় করে থাকেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে চলতি বছর চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের প্রণোদনা কর্মসূচিতে উন্নত জাতের তুলা বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হয়। এতে তারা আগ্রহী হয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে তুলা চাষাবাদ করেছেন।
উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের চরনান্দিনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় বিশাল মাঠ জুড়ে তুলার চাষাবাদ। বাতাসে তুলা গাছ দোল খাচ্ছে। বড় বড় গাছে প্রচুর তুলা ধরেছে। কোন কোন গাছে ইতোমধ্যে সাদা তুলা বের হয়েছে।
একই গ্রামের চাষি সোলায়মান, আল মাহমুদ জানান, চাষাবাদের জন্য তুলা বীজসহ বিনামূল্যে রাসায়নিক সার পেয়েছেন। তা দিয়ে তারা চাষাবাদ করেছেন। এতে তেমন কোন বাড়তি খরচ হয়নি। উৎপাদিত তুলা বাড়ি থেকেই বিক্রি করা যায় বলে কোন ঝামেলা হয় না। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনে লাভের আশা চাষিদের।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার সাদাত জানান, উপজেলার তুলা চাষিদের আমরা মাঠ পর্যায়ে সব রকমের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি। অল্প খরচে এ চাষাবাদে তারা ভাল টাকা আয় করতে পারেন। এবারও জেলার চাষিদের প্রণোদনা দিয়েছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩, রায়গঞ্জ উপজেলায় ২৫ এবং কামারখন্দ উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে তুলা চাষাবাদ হয়েছে।
মন্তব্য করুন