বগুড়ার ধুনটে হাট বাজারে বাহারি বাঁশ পণ্যের বেচাকেনা, টিকে থাকার লড়াই
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় বিভিন্ন হাট বাজারে বাহারি বাঁশ পণ্যের বেচাকেনা করছেন এ শিল্পের কারিগররা। প্লাস্টিকের আধিপত্যকে হার মানিয়ে এখনো টিকে আছে বাঁশের তৈরি এসব পন্য। এখনও গ্রামের মানুষের কাছে এসব পণ্যের কদর কমেনি। বছরের এই সময়টাতে বাঁশের তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়ে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় এখানকার হাটে বাজারে।
সরেজমিন হাটে দেখা যায়, সারি সারি বসা অস্থায়ী দোকানে পসরা সাজিয়ে বাঁশ পণ্যের বেচাকেনা চলছে। ক্রেতারা প্রতিটি পণ্য ও দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছেন, দর-কষাকষি করছেন। খৈচালা, কুলা, ডালা, চাটায়, চালুনি, খলই, পলই, ঝুঁরি, খাঁচি, টোপাসহ অন্তত ৪০টির বেশি পণ্য পাওয়া যায় এখানে। টেকসই আর কম দামের কারণে গ্রামের মানুষের কাছে এখনও পছন্দের তালিকায় রেখেছেন এসব পণ্য।
বাঁশ পণ্যের ক্রেতারা জানান, বর্তমানে প্লাস্টিক আসার কারণে এসব পণ্যের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। তবে গ্রাম বাংলার মানুষ এখনও বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করে। আমাদের কাছে প্লাস্টিকের তুলনায় বাঁশের তৈরি এসব পণ্য টেকসই, জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যসম্মত।
আরও পড়ুনবাঁশ শিল্পের কারিগররা জানান, আগে এই শিল্পের কদর ছিল। এখন গৃহস্থালির কাজে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার অনেক কমেছে। সিলভার ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। এই কারণে অনেকেই পূর্বপুরুষের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। আমরা যারা আছি তারা খুব কষ্টে আছি, যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে না। তবে সরকারি ভাবে যদি বাঁশ শিল্প পণ্যের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে হয় তো এ পেশায় টিকে থাকতে পারবেন এমনটিই দাবি তাদের।
ধুনট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফী বলেন, এসব শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের মান উন্নয়নে সরকার ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যারা এ ধরণের বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন