সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত
সিরিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই হিজবুল্লাহ কমান্ডার ২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করতে সহায়তা করেছিলেন। খবর আল জাজিরার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, আলী মুসা দাকদুক কারবালার অভিযানে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। সে সময় হিজবুল্লাহর সদস্যরা মার্কিন নিরাপত্তা দলের ছদ্মবেশে একটি ঘাঁটিতে প্রবেশ করে গুলি চালায় এবং পাঁচ মার্কিন সেনাকে হত্যা করে। সাম্প্রতিক বিমান হামলায় আলী মুসা দাকদুক নামের ওই হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের ওই হামলা কবে কখন চালানো হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া ওই হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে কি না সে বিষয়টিও নিশ্চিত নয়।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
আরও পড়ুনবৃহস্পতিবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এটি পশ্চিমা গণতন্ত্রের আদলে তৈরি কোনো দেশের নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রথম ঘটনা। আইসিসি বলছে, ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এই দুইজনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আদালতের এই পদক্ষেপকে ইহুদিবিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যানও করেন তিনি। নেতানিয়াহু দাবি করেন, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার জবাবেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
মন্তব্য করুন