যুদ্ধক্ষেত্রে আবারও নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাদের কাছে শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ রয়েছে। আর এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্যও প্রস্তুত। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) অপ্রত্যাশিত এক টিভি ভাষণে তিনি ক্ষেপণাস্ত্রটির আরও পরীক্ষা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাশিয়া ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপের একদিন পরই এমন বক্তব্য দিলেন রুশ নেতা। খবর : বিবিসি
ইউক্রেন প্রথমবারের মতো মার্কিন ও ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর পর, রাশিয়ার এই ওরেশনিক মিসাইলের ব্যবহার সেই সপ্তাহে যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। শুক্রবারের ভাষণে রুশ নেতা আরও বলেছেন, ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো সম্ভব নয়। ওরেশনিক হাইপারসনিক মিসাইল শব্দের গতির চেয়ে ১০ গুণ বেশি দ্রুত চলে। পুতিন একে উৎপাদনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনের স্টর্ম শ্যাডো এবং আটাকামস মিসাইল ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তারা।
প্রথমে একে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) মনে করা হলেও পরে মস্কো জানিয়েছে, সেটি নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রও আইসিবিএমের মতো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে বলে জানিয়েছেন পুতিন। পুতিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘ওরেশনিক’। এটি মধ্যপাল্লার একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ভাষ্যমতে, সেটি ছিল মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুনসিবিলাইন রিস্ক অ্যাডভাইজরি কোম্পানির সিইও জাস্টিন ক্রাম্প বলেছেন, মস্কো এই হামলাকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এত দ্রুত এবং উন্নত যে এটি ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন