মা হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা
বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত মারা গেছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৬।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সহকারী শর্মিষ্ঠা ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে জানান, অনেক দিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন ঋতুপর্ণার মা নন্দিতা। গত অক্টোবরের শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানেই মারা যান নন্দিতা সেনগুপ্ত। ঋতুপর্ণার স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী, মেয়ে ঋষণা সিঙ্গাপুরে ছিলেন। এরই মধ্যে তারাও কলকাতা ফিরেছেন। তবে ঋতুপর্ণার ছেলে অঙ্কন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে, সে ফিরতে পারেনি।
মায়ের মৃত্যুতে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘মা সেই চলেই গেল, আটকাতে পারলাম না। সব কেমন ওলটপালট হয়ে গেল। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার কথা তো সকলে জানে। নন্দিতা সেনগুপ্তর মেয়েকে কতজনই বা জানত!’ ঋতুপর্ণার সবকিছুতে মিশে আছেন তার মা। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়া, সফলভাবে কাজ করা, ভেঙে পড়া, উঠে দাঁড়ানো-সব মায়ের কঠোর সমর্থনে। শুধুই মা। মা আমার দুর্গা। আমার মনের জোর। জন্ম থেকে আমার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসের বীজ মা বুনে দিয়েছিল তার জেরেই আমি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সব কিছুতে এগিয়ে যেতে হবে আমাকে, মা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। মেয়ে বলে আলাদা করে মানুষ করা, মায়ের মাঝে এমনটা কখনো দেখিনি।’
আরও পড়ুনমাকে হারানোর ভয় অনেক দিন ধরেই ঋতুপর্ণার মনে ভর করেছে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘মা আচমকাই অক্টোবরের শেষের দিকে হাসপাতালে ভর্তি হলো। আগেও হয়েছে। কিন্তু ফিরে এসেছে। সেই কারণেই ভাবলাম যার এত মনের জোর সে ঠিক ফিরবেই। কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করল। এক দিন মনে হলো, কার কাছে যাব? মা বাড়িতে নেই। মা কথাও বলছে না, কাছে যাচ্ছি। কিন্তু গেলেও তো জড়িয়ে ধরে সব কথা, সমস্যার কথা বলতে পারছি না। কী করি?’
মন্তব্য করুন