পাকিস্তানের জাতিগত সহিংসতায় নিহত আরও ২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) কুররম জেলায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে পালটা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গোলাগুলিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে, বৃহস্পতিবার যানবাহনের একটি বহরে হামলায় ৪০ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার দুই দিন পর নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। তিন দিনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ জনে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গুলি চালায়, সরকারি ভবন লুটপাট করে, বাজার ও ঘরবাড়িতে আগুন দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা চলছিল। সূত্র জানায়, শুক্রবার মধ্যরাতে প্যারাচিনার সদর দপ্তর থেকে আসা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বাগান বাজার এবং নিম্ন কুররমের আশেপাশের গ্রামগুলোতে হামলা চালায়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভারী গুলিবিনিময় শুরু হয়। নিম্ন কুররমের বিভিন্ন স্থানে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গুলিবিনিময় চলতে থাকে। এদিকে উচ্চ কুররম থেকেও অনিয়মিত গুলির খবর পাওয়া গেছে। তবে সেখানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল।
আরও পড়ুনসরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছে। মৃতদেহগুলোও ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জানিয়েছেন, জিম্মিদের মুক্তি এবং মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধার করতে আলোচনা চলছে। সহিংসতার কারণে স্থানীয়রা তাদের বাড়ি ছেড়ে আশপাশের এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন