মামলা দায়ের, আসামিরা অধরা
বগুড়া সরকারি আ: হ: কলেজে মেহেদী হত্যাকান্ডে অংশ নেয় রকি ও মতিরা
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে কনসার্ট দেখতে যাওয়া মেহেদী হাসান (২৬) হত্যাকান্ডের জড়িতরা এখনও অধরা। হত্যাকান্ডের একদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে এ হত্যার ঘটনায় ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেইসাথে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫-৬ জনকে। আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) মেহেদীর মা সুকি বেগম ওরফে শ্যামলা বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার আর্জিতে সুকি বেগম উল্লেখ করেন তার ছেলে বন্ধুদের সাথে গতকাল শনিবার রাতে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের নতুন ভবনের মাঠে কনসার্ট দেখতে যায়। কিন্তু কনসার্ট দেখতে গিয়েই দুর্বৃত্তদের হাতে তার ছেলে নির্মমভাবে খুন হয়।
ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে রকি, মতি ও সাকিলসহ ৮-৯ জন দুর্বৃত্ত কলেজের নতুন ১০ তলা ভবনের অদূরে পুকুর পাড়ের কাছে জোড়া খেজুর গাছের সামনে মেহেদীকে একা পেয়ে তার পেটসহ শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে তার ভুড়িও বের হয়ে যায়।
এরপর দুর্বৃত্তরা চলে গেলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাদি সুকি বেগম আরও জানান, তার ছেলে মেহেদীর সাথে শহরের জহুরুল নগর এলাকার আসামি রকি, মতি ও সাকিলের পূর্ব বিরোধ ছিল। এর আগেও ওই আসামিরা তার ছেলেকে একাধিক বার হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুনমেহেদীর একাধিক বন্ধু জানায়, মেহেদী তাদের সাথেই ছিল। তারা একসাথে কলেজ মাঠে কনসার্ট দেখছিল। এ সময় মেহেদী সেখান থেকে প্রসাব করার জন্য ১০ তলার কাছে যায়। কিন্তু সেখানে আসামিরা মেহেদীকে একা পেয়ে তাকে উপর্যুপরিভাবে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। কিন্তু পরে তারা টের পেয়ে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় মেহেদীকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্ত হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেদী হাসান (১৯) শহরের মালগ্রামের চাপরপাড়া (আদর্শপাড়া)র রাজমিস্ত্রী রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তবে মেহেদী হাসানের আদি বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার বাঁশহাটা উত্তরপাড়ায়। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর সহযোগী ছিলেন মেহেদী।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম. মঈনুদ্দীন জানান, এ হত্যার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
মন্তব্য করুন