কেনো সাংবাদিকের সাথে প্রেম করবেন ?
লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রেম কিংবা বিয়ের ক্ষেত্রে যেসব পেশাজীবী এখনও অপছন্দের তালিকায় আছেন, সাংবাদিকরা তাদের মধ্যে অন্যতম। অফিসটাইম কিংবা ডিউটির ধরাবাঁধা সময় নেই, অনেক ক্ষেত্রে বেতন-বোনাসের অনিশ্চয়তা, হুটহাটই হয়তো চলে যেতে পারে সাধের চাকরিটাও। এতসব অনিশ্চয়তার পরেও একজন সাংবাদিককে ভালোবাসলে লাভবান হবেন আপনিই-
তারা শহরের সবচেয়ে ভালো জায়গাগুলো জানে
অনেকে মনে করেন, সাংবাদিকেরা নিস্তেজ, অসামাজিক এবং আত্মপ্রেমেই মগ্ন থাকে। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। তারা শহরের সবচেয়ে আনন্দদায়ক পার্টিতে, সিনেমার প্রিমিয়ারে যেতে পারে; সেরা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে পারে। এমন মানুষের সঙ্গী হতে কে না চাইবে!
সৃজনশীল
একজন সাংবাদিককে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হয়। জ্ঞানপূর্ণ এবং আকর্ষক গল্পগুলো তারা পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে যা কিনা নিউজরুমের সীমার বাইরেও প্রসারিত হয়। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার অন্যতম সুবিধা হলো সে আপনাকে সবচেয়ে স্নিগ্ধ উপায়ে মুগ্ধ করতে পারবে। এমনকী তার দেওয়া কষ্ট কিংবা অবহেলাও হবে একইরকম সৃজনশীল!
অন্তহীন কথোপকথন
সাংবাদিকরা বোকা এবং স্মার্টনেসের একটি নিখুঁত মিশ্রণ। বিশ্বের চারপাশে যা ঘটছে তার খোঁজ তারা স্বাভাবিকভাবেই রাখে। তাদের সঙ্গে কথোপকথন আকর্ষণীয়। কথা চালিয়ে গেলে তা আপনাকেও জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে, তাদের সঙ্গে কথা অবিরাম কথা বললেও আপনি বিরক্ত হবেন না। কারণ তারা যেকোনো বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে।
টাকা তাদের কাছে মূখ্য নয়
তাদের কাজের প্রতি অনুরাগই তাদের চালিত করে, অর্থ নয়। যদি এটি অর্থ তৈরির বিষয়ে হতো, তবে তারা এই পেশায় থাকতো না। তারা তাদের পরিশ্রমের হিসাবে ততটা উপার্জন নাও করতে পারে, তবে তারা সময়কে বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারে।
বিশ্বস্ত
বিশ্বাস হলো অন্যতম বৈশিষ্ট্য যা সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ডের বাইরে রাখা থেকে শুরু করে তারা অনেক কিছুই নিরাপদ ও গোপন রাখতে জানে। নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি যদি একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করেন তবে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না এবং আপনার গোপনীয়তা সব সময় নিরাপদ থাকবে।
আরও পড়ুন
মাল্টিটাস্কিং তাদের শক্তি
অগণিত উত্স, সময়সীমা এবং ভীষণ চাপের পরিবেশে কাজ করা তাদের অন্যতম দক্ষতা। সাংবাদিকরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা তাদের কাজ এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরি ভারসাম্য রাখতে পারে। তারা সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও সঙ্গীকে ভালোবাসা এবং যত্ন দিতে পিছপা হয় না।
আপনাকে স্পেস দেবে
সাংবাদিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তারা আপনাকে এক মিলিয়ন প্রশ্ন দিয়ে অতিষ্ঠ করবে না বা আপনি কীভাবে আপনার দিনের প্রতিটি মিনিট কাটিয়েছেন তা জানার দাবি করবে না। তারা আপনাকে স্পেস দেবে এবং বিনিময়ে একই আশা করবে।
কঠোর পরিশ্রমী
সাংবাদিক হওয়া সহজ নয়। এটি কঠোর পরিশ্রম এবং নিঃশর্ত অধ্যবসায় দ্বারা ভারাক্রান্ত একটি জীবন। পিআর- এর সঙ্গে কাজ করা থেকে শুরু করে খবরের উৎসের পেছনে দৌড়ানো, কোনোটিই সহজ নয়। তারা ঠিক জানে যে কোনোকিছু সঠিকভাবে পেতে এবং কার্যকর করতে কী লাগে; এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেও একই আচরণ আশা করে।
ভালো শ্রোতা
সাংবাদিকদের সবসময় মজার মজার গল্প থাকে। তারাও কিন্তু দারুণ শ্রোতা, তারা সত্যিকার অর্থে আপনার প্রতি আগ্রহ দেখাবে। তারা আপনার করা সামান্য ইঙ্গিতও ধরে ফেলতে পারদর্শী।
সহায়ক
সাংবাদিকরা প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করার জন্য নিজের সামর্থ্যের বাইরেও যায়। এক্ষেত্রে অপরিচিত কেউ হলেও কোনো ব্যাপার না। তারা তাদের প্রচেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখে না। এটা বলাই যায় যে, সাংবাদিকদের হৃদয় বড় হয়।
মন্তব্য করুন