সপ্তম বর্ষপূর্তিতে ভিভো, স্মার্টফোনে উপহার ও ছাড়
ঢাকা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪: বাংলাদেশের মানুষের চাহিদাকে সামনে রেখে নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এদেশে যাত্রা শুরু করে ভিভো। সপ্তম বর্ষপূর্তির আনন্দ দেশের মানুষের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে ভিভো দিয়েছে নজরকাড়া উপহারের ঘোষণা।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভিভোর নতুন ক্যাম্পেইন। যেখানে থাকছে ক্রেতাদের জন্য নিশ্চিত উপহার, বাড়তি ওয়ারেন্টি ও দামে ব্যাপক ছাড়।
ভিভো ভি৪০ ফাইভজি কিনলে মিলবে রিরো ডব্লিউ১ স্মার্টওয়াচ, যার দাম ৪৩৯৯ টাকা। ভিভো ভি৪০ লাইট কিনলে উপহার হিসেবে মিলবে ১৯৯৯ টাকা দামের রিরো এল১৫ এয়ারবাড। এছাড়া ভিভো ওয়াই২৮ কিনলে মিলবে রিরো বি১০ নেকব্যান্ড। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
নতুন রং ‘গ্ল্যাসিয়ার ব্লু’ তে এসেছে ভিভো ওয়াই১৯এস। পাশাপাশি এই মডেলের সব ভ্যারিয়েন্টে থাকছে ২ বছরের ওয়ারেন্টি। সেই সাথে ওয়াই২৮ মডেলের দাম ২০০০ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। সাথে ওয়াই০৩টি মডেলের দাম কমেছে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
চলতি বছওে দেশে ওয়াই সিরিজের পাঁচটি এবং ভি সিরিজের চারটি নতুন স্মার্টফোন এনেছে ভিভো। ভি সিরিজ নিয়ে এসেছে স্মার্ট অরা লাইট, এআই ইরেজার, ব্লু ভোল্ট ব্যাটারি এবং প্রথমবারের মতো ক্যামেরায় জাইস এর লেন্স। ভি৪০ মডেলে যুক্ত এই জাইস লেন্স ক্যামেরা ভিভোকে ক্যামেরা-কেন্দ্রিক স্মার্টফোনের বাজারে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সেই সাথে ভিভোর নতুন ব্লু ভোল্ট ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী চার্জ এবং দ্রুত চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ভিভোর কান্ট্রি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহমেদ বলেন, ‘উদ্ভাবনে স্থানীয় চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে ভিভো। ২০১৭ সালে এ দেশে কাজ শুরু করার পর থেকে সেই আস্থা নিয়েই কাজ করছে ভিভো। গ্লোবাল প্রযুক্তির সেবা যেন এ দেশের মানুষ নিতে পাওে সেজন্য আমরা কাজ করছি। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে বিশ্বমানের প্রযুক্তি সেবা দিয়ে যেতে চায় ভিভো।’
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
মন্তব্য করুন