ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ মেহেরপুর মুক্ত দিবস

আজ মেহেরপুর মুক্ত দিবস

আজ ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর দখল মুক্ত হয়েছিল জেলা।মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় পিছু হাঁটা পাক হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে গোপনে মেহেরপুর ছাড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের পক্ষে ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক। অন্যদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন,পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক প্রমুখ।

১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর গাংনী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিতমুক্তি বাহিনীর অ্যাকশন ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনীও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিতভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করেন। সীমান্তে পাকবাহিনীর স্থাপন করা অসংখ্য মাইন অপসারণের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর হানাদার মুক্ত হয় ৬ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন

ওই দিন মেহেপুরের জনসাধারণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের লোক একযোগে রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাস করেন। এর আগে, তৎকালিন সময়ে ছাত্র-জনতা, আনসার-মুজাহিদদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে জেলার ভাটপাড়া থেকে অনতিদূরে সাহারবাটি টেঁপুখালি, হিন্দা, লক্ষ্মী নারায়ণপুর, ধলা,গাড়াবাড়িয়া, জোড়পুকুরিয়া, ভোমরদহ, ধর্মচাকীর বহু মানুষ গনহত্যার শিকার হন। ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে লাল-সবুজ পতাকায় মুক্ত হয়ে ওঠে মেহেরপুর।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশে ফিরলেন আজহারী, অংশ নেবেন মাহফিলে

আবারও ইসরায়েলে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

নিহতের পরিবারকে মোট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিলেন আল্লু অর্জুন

অল্পতেই পার পেলেন কোহলি

অস্কারের জাদুঘরে ঐশ্বরিয়ার সেই লেহেঙ্গাটি!

যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরান : আইআরজিসি