ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রিনা আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের নাদু মিয়ার মেয়ে। ঘটনার পরপরই নিহতের স্বজনরা ওই নারীর স্বামী মো. নাহিদ হোসেনকে (২৬) ধরে রাখেন।
অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন খুলনার রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি।
আরও পড়ুনস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে নাহিদ রিনাকে বিয়ে করেন। এরপর প্রায় স্ত্রীকে নিয়ে শশুরবাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। গত ১০-১৫ দিন আগে নাহিদ সস্ত্রীক একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শশুরবাড়িতে আসেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি স্থানীয় চরচেঙ্গা বাজারে যান। সেখানে তিনি একটি ফার্মেসি দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ কিনে সেবন করেন। একপর্যায়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাত ৯টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। পরবর্তীতে নেশা করা নিয়ে স্ত্রী রিনার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এ নিয়ে নাহিদ উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সোনাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান রানা বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যা করে সে চৌকিতে শুয়ে ছিল। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরেই হয়েছে এই হত্যাকাণ্ড।’
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে তুচ্ছ ঘটনার জেরে স্ত্রীকে হত্যা করেছে ওই যুবক। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের স্বজনেরা অভিযুক্ত স্বামীকে ধরে রাখে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন