বায়ুদূষণের ৩০ শতাংশ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বায়ুদূষণের ৩০ শতাংশ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে আসে ২৮ শতাংশ এবং নির্মাণকাজ ও শিল্প দূষণ থেকে আসে ১৩ শতাংশ। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের বিআইআইএসএসে আয়োজিত "গ্লোবাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনস চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রায়োরিটিজ ফর বাংলাদেশ" শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, বায়ুদূষণ রোধে ইতোমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্স ১৪টি দলে বিভক্ত হয়ে শনিবার থেকে ঢাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সাভারে অভিযান পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, টাস্কফোর্স নির্মাণকাজ ও দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে, অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেবে এবং ধুলো নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করবে। তবে বায়ুদূষণ রাতারাতি ঠিক হবে না।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, "পরিকল্পনা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত। পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উচিত কেবল পরিকল্পনা তৈরি না করে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।"
আরও পড়ুনতিনি বলেন, "ইটভাটা ও স্টিল মিলের কার্যক্রম কিছুদিন বন্ধ রাখা উচিত এবং পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোকে কড়া নজরদারিতে আনা প্রয়োজন। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানগুলোতে অন্তত ঘাস লাগানো উচিত।"
ঢাকার পরিবেশ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা শহরের ২১টি খাল চিহ্নিত করেছি এবং সেগুলোর পুনঃখননের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে সঠিক সময়ে সবকিছু করলেও পরিবেশের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানে আমাদের আরও সময় এবং কাজের প্রয়োজন।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমরা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে পুনর্গঠন করছি। কিন্তু হাতিরঝিলের পাশে হাঁটতে কেউ আগ্রহী না, কারণ সেখানে এখনো দুর্গন্ধ রয়েছে। তবে পরিবেশ পুনর্গঠনের কাজ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।"
মন্তব্য করুন