ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন’স এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার -প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আজ ১৮ ডিসেম্বর ( বুধবার) শিক্ষার্থীদের চমৎকার একাডেমিক, কো-কারিকুলার, এক্সট্রা কারিকুলার পারফরম্যান্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান ডিন’স অ্যাওয়ার্ড উদযাপন অনুষ্ঠানের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিভাগের মোট ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিন’স এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারি (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং এওয়ার্ড উইনারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিরর উপাচার্য প্রফেসর ড.এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.এস.এম মাহাবুবুল হক মজুমদার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ডিন’স অ্যাওয়াড বিজযীরা হলেন বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদ থেকে ৪৭ জন, ব্যবসা ও উদ্যোক্তা অনুষদ থেকে ১৫ জন, প্রকৌশল অনুষদ থেকে ১৬জন, জীবন ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ২০ জন এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ১১ জন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কয়েকদিনের মধ্যেই শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করতে যাচ্ছে । এ শিক্ষা কমিশন দেশে-বিদেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত, মেধাবী ও দক্ষতাসম্পন্ন লোকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সরকার শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্ধ নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ গ্রহনের উপর জোড় দেন এবং শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লব পরবর্তী আই ই খাতের উপযোগী হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনঅনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড.এম লুৎফর রহমান বলেন, “বর্তমান সময়ের প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষদের বিভাগগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশ ও সমাজের আর্থ-সামাজিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। আমরা আশা করি শিক্ষার্থীরা আরও ভালো মানবিক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে অবদান রাখবে।” স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রফেসর ড.এম লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদেরকে পুরস্কৃত করার সময় শুধু তোমাদের একাডেমিক গুণাবলীই নয়, আপন দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ, মানবিক নৈতিকতা, সহপাঠ্যক্রমিক এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের স্বীকৃতি দিয়েছে। আগামী দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা শিক্ষকদের একইভাবে পুরস্কৃত করা হবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন