সাইবার ফাঁদ থেকে নিরাপদ থাকবেন যেভাবে
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: সম্প্রতি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে টিকিট বুকিং, ই-ব্যাংকিং সব জায়গায় ফাঁদ পেতে বসে আছে সাইবার অপরাধীরা। শুধু টাকা-পয়সা নয়, মোবাইল হ্যাক করে যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য অপরাধীর জিম্মায় চলে যেতে পারে। ফোন চার্জ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুধু ফোন খারাপ হলেই যে এমন হবে তা কিন্তু নয়, ফোন হ্যাক করলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে।
সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশলে ফোন হ্যাক করতে পারে এবং অনেক সময় ব্যবহারকারী তা বুঝতে পারে না। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ ও আচরণ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা। কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ ও উপায় দেওয়া হলো, যেগুলো দিয়ে আপনি জানতে পারবেন ফোন হ্যাক হয়েছে কি না।অস্বাভাবিক ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ : যদি আপনি ফোনের ডাটা ব্যবহারের পরিমাণে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখেন, তাহলে এটি একটি সংকেত হতে পারে যে ফোনে কোনও ম্যালওয়্যার বা হ্যাকিং সফটওয়্যার চলমান রয়েছে, যা আপনার ডাটা ব্যবহার করছে।
অজানা অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ইনস্টল হওয়া : ফোনে অজানা অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ইনস্টল হলে, এটি একটি স্পষ্ট লক্ষণ হতে পারে যে ফোনটি হ্যাক করা হয়েছে। এসব অ্যাপ্লিকেশন সাধারণত ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং আপনার তথ্য চুরি করতে পারে।
ফোন স্লো হয়ে যাওয়া : ফোন হ্যাক হওয়ার পরে সেটি সাধারণত স্লো হয়ে যায়, কারণ হ্যাকাররা ফোনে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে এবং এটি ফোনের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়। ফোনের সাধারণ কার্যকারিতায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
ফোনে অজানা কল ও মেসেজ : ফোন হ্যাক হলে অজানা কল বা মেসেজ পাওয়া যেতে পারে, বা আপনি দেখতে পাবেন যে, আপনার ফোন থেকে অজানা নম্বরে কল বা মেসেজ পাঠানো হয়েছে, যা আপনি নিজেরাই পাঠাননি।
যেভাবে সাইবার প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকবেন :
টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন : আপনার গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টে (ব্যাংক, সামাজিক মাধ্যম, ই-মেইল) 2FA (Two-Factor Authentication) সক্রিয় করুন। এটি একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর, যেখানে আপনি পাসওয়ার্ড ছাড়াও একটি কোড বা OTP ব্যবহার করে লগইন করবেন।
ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করুন : ফোনের সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করুন, কারণ আপডেটের মধ্যে সাধারণত নিরাপত্তা সম্পর্কিত বাগ ফিক্স থাকে যা সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ফিশিং স্ক্যাম থেকে সাবধান : ফিশিং স্ক্যাম হলো এমন এক ধরনের প্রতারণা যেখানে সাইবার অপরাধীরা আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হওয়া একটি ই-মেইল বা মেসেজ পাঠিয়ে আপনার গোপন তথ্য চুরি করে নেয়। কখনোই কোনো সন্দেহজনক মেসেজ বা ই-মেইলে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।
মন্তব্য করুন