আজ ১৮ ডিসেম্বর নওগাঁ হানাদারমুক্ত দিবস
নওগাঁ প্রতিনিধি : ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের খবর শোনার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল হোসেন চৌধুরী নওগাঁ আক্রমন করার সিদ্ধান্ত নেন। তার পূর্বে নদীকুল নামক স্থানে গ্রুপ কমান্ডারদারদের ব্রিফিং দেন জালাল হোসেন চৌধুরী এইমর্মে যে, নওগাঁ এখনও অবাঙালিদের নিয়ন্ত্রণে। সমগ্র নওগাঁ শহর মেজর সাঈদের ডিফেন্স পজিশনে রয়েছে। অধীনস্থ পাঞ্জাব, বেলুচ, সিন্ধি, পাঠান রেজিমেন্টকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর, শীতের সকাল। মুক্তিযোদ্ধাদের বিশাল দল নওগাঁ আক্রমন করে। মুক্তিবাহিনী জগৎসিংহপুর ও খলিশাকুড়ি গ্রামে অবস্থান নিলে দুই বাহিনীর মধ্যকার দূরত্ব একেবারে কমে আসে। মাঝে শুধু শাখা যমুনা নদী। এ অবস্থায় জালাল হোসেন চৌধুরী তার দলকে গুলি চালাবার নির্দেশ দেন। রাত পর্যন্ত এ যুদ্ধ স্থায়ী ছিল।
১৮ ডিসেম্বর শনিবার। সকালে বগুড়া থেকে অগ্রসরমান ভারতীয় মেজর চন্দ্রশেখর, পশ্চিম দিনাজপুর বালুরঘাট থেকে নওগাঁ অভিমুখে অগ্রসরমান পিবি রায়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী নওগাঁয় প্রবেশ করে। হানাদার বাহিনীর তখন আর করার কিছুই ছিল না।
আরও পড়ুনফলে প্রায় দুই হাজার পাকসেনা নওগাঁ কেডি স্কুল থেকে পিএম গার্লস স্কুল ও সরকারি গার্লস স্কুল থেকে শুরু করে পুরাতন থানা চত্ত্বর ও এসডিও অফিস থেকে শুরু করে রাস্তার দু’পাশে মাটিতে অস্ত্র রেখে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নতমস্তকে আত্মসমর্পণ করে। এসময় নওগাঁর বিহারী সম্প্রদায় সপরিবারে কেডি সরকারি স্কুলে আশ্রয় নেয়।
তৎকালীন নওগাঁ মহকুমা প্রশাসক সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানান। নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উল্লাসে এসডিও অফিস চত্ত্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা পতাকার প্রতি সালাম জানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। নওগাঁ হানাদারমুক্ত হয় ১৮ ডিসেম্বর।
মন্তব্য করুন