সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে হাসপাতালে শীতজনিত ও এলার্জি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (হাসপাতালে) শীতজনিত কারণে ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট জনিত এ্যাজমা ও ছত্রাক এলার্জি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এ বছরের এলার্জি রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বরে শুরু থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। যে কারণে বেশি ভাগই সময়ে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। এতে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে খুবই কম তাপমাত্রা পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়স্ক বয়বৃদ্ধারা। এদিকে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষেরা।
কারণ তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহীর জন্য প্রতিনিয়ত প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে কাজ করতে হয়। তাই তাদের অতিরিক্ত ঠান্ডায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হতে হয়। এদিকে চান্দাইকোনা বাজারের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক মফিজ জানান, এ জাতীয় ছত্রাকজনিত এলার্জি রোগ দেখা দিয়েছে। ওষুধ খেলে একটু কমে যায়। আবার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে আবার ওই রোগ দেখা যায়।
অপরদিকে নিমগাছী বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, এবছরে ঠান্ডাজনিত রোগের ওষুধের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ওষুধ বিক্রি হয়েছে এলার্জি জনিত চুলকানির ওষুধ।
আরও পড়ুনএবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাদিয়া ইসলাম তন্বী জানান, নিউমোনিয়া শিশুসহ বয়স্ক রোগী ২০ জন, ডায়রিয়া শিশু রোগী ২৯ জন, এ্যাজমা, শ্বাসকষ্টজনিত রোগী ৪০ জন, ভর্তি ও চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কিছু রোগী স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এ উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা খুবই কম।
এ শীতে আক্রান্ত হওয়া রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। শীতজনিত রোগীর ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, তারা যেন বেশি বেশি গরম কাপড় ব্যবহার করে। শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আর পচা বাসি বা হাট-বাজারের ফুটপাতের তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন