ভিডিও শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

তাবলীগের সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূর গ্রেপ্তার

তাবলীগের সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূর গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক: টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় তাবলীগ জামায়াতের মাওলানা সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূরকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দর হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত হয়েছেন এবং অর্ধশত আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এসএম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকশ' জনকে আসামি করা হয়েছে।


মামলার বাদী এসএম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামের মৃত এসএম মোক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি জুবায়েরের অনুসারী এবং কিশোরগঞ্জের আলমি শুরার সাথী।

আরও পড়ুন

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিরা মাওলানা সা’দ কান্ধলাভীর অনুসারী। গত ৪ ও ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় বাধা দিয়ে ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। তারা সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত বহির্ভূত আগামী ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে সা’দপন্থিদের জড়ো করার মর্মে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা করতে থাকে। 

মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তারসই করা চিঠির মাধ্যমে সারাদেশের সা’দপন্থিদের জানান, যে আগামী ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানেই পুরনোদের জোড় হবে। ওই চিঠিতে পুরনো সাথীদের সঙ্গে মোনাসেব সাথীদেরও নিয়ে আসে এবং তাদের সঙ্গে যেন টর্চলাইট ও হ্যান্ডমাইক থাকে।

মামলার ২নং আসামি আব্দুল্লাহ মনসুর ফেসবুক লাইভে ঘোষণা দেন, পুরনোদের জোড়ে এবং বিশ্ব ইজতেমায় যদি মাওলানা সা’দ সাহেবকে আনতে দেয়া না হয় এবং তাদের যদি টঙ্গী ময়দানে ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর জোড় করতে দেয়া না হয়, তাহলে তারা সরকারের সিদ্ধান্তমতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব হতে দেবে না।

তাদের এসব উসকানিমূলক বক্তব্যে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত ও পাহারারত আলমি শুরার সাথীদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৬৫), ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মৃত শেখ সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়া সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া গ্রামের ওমর উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রহমতউল্লাহ, সম্পাদক তালহা

রাতেই ঢাকায় আসছেন রাহাত ফতেহ আলী খান

গাজাবাসীকে পানি না দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল

মারা গেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

আমাজনে উভচর ইঁদুরসহ ২৮টি নতুন প্রজাতির সন্ধান

পি কে হালদারকে জামিন দিল কলকাতার আদালত