উৎপাদন হয়েছে গত বছরের তিনগুণ
বগুড়ার সোনাতলায় বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ এখন হলুদ রঙে রঙিন
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ এখন হলুদে মাখামাখি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন উপজেলার কৃষি বিভাগ। এ উপজেলায় এবার ৭ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ২৫০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমন ধান কাটার পর ওই উপজেলার কৃষকেরা জমি ফেলে না রেখে ইরি-বোরো মৌসুমের আগেই আরেক ফসল ঘরে তুলতে সরিষা চাষ করেছেন। এতে করে তেলের স্থানীয় চাহিদা পূরণ হচ্ছে। কৃষকেরা চলতি বছর বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-১৭, বিনা-৯, বিনা-৪, টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছেন।
পূর্ব তেকানী এলাকার কৃষক শামছুল হক বলেন, এবার তিনি ৯ বিঘা জমিতে বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। গত বছর তিনি বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করে প্রতিবিঘায় ৮-১০ মণ সরিষা উৎপন্ন করেছেন। প্রতি মণ সরিষা ২২শ’ থেকে ২৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুনপাশাপাশি বছরজুড়ে নিজের উৎপাদিত সরিষার তেল পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করেছেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডা. মোখছেদুল আলম বলেন, সারাবছর সরিষার তেল রান্না কাজে ব্যবহার করলে লিভার ভালো থাকে। এতে করে মানুষ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত কম হন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, এ উপজেলার কৃষকেরা সরিষা ফসল চাষে ওপর ঝুঁকে পড়েছেন। কারণ এই ফসল উৎপাদনে খরচ কম, লাভ বেশি। এছাড়াও কৃষক আমন ও ইরি ফসলের মাঝখানের সময়টা জমি ফেলে না রেখে সেই জমিতে সরিষা চাষ করে আরেকটি বাড়তি ফসল পাচ্ছেন। এতে করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন