প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড করা উচিত: সারজিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, বতর্মান সময়ে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্ট্রং করতে ও শিক্ষার মান বাড়াতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩ গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে আনা উচিত।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও এভারেস্ট ফার্মাসিটিউক্যালসের এর সহযোগিতায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মাথাফাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার ১২'শ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও শীতবস্ত্র হিসেবে হুডি উপহার দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বতর্মানের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্ট্রং করতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশের মূল্য স্থিতির অবস্থা, একজন সন্তানকে পড়াশোনা করার যে খরচ। সেখানে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের যে গ্রেড তা ১০ম গ্রেডে আনা উচিত। কারণ আমরা যদি শিক্ষকদের সেই সাপোর্ট বা সম্মানটা না দেই খুব স্বাভাবিকভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বা দায়বদ্ধতা, সেটা তারা সেভাবে খুঁজে পাবে না। এবং তাদেরকে জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্যদিকে মনোযোগ দিতে হবে। তো দুইদিনকে মনোযোগ দিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের যে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সেটা আমরা দেখতে পাবো না। আমরা যেমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবো, তেমনা আমাদের অবকাঠামোর দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আমাদের সম্মানিত শিক্ষক যারা রয়েছে তাদের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।
সারজিস বলেন, তেঁতুলিয়ার শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে। আমরা চাই তারা আরো বড় পরিসরে কাজ করুক। এখানে এক হাজারের মতো শিশু শিক্ষার্থী আছে। তারা আগামী ২০ বছরে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এক হাজার সেক্টরে কাজ করবে। তারা যতটা ভালো করবে, তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় ততটা ভালো করবে। তথা বাংলাদেশ ততটা ভালো করবে বলেও জানান সারজিস।
আরও পড়ুন
এ সময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন রংপুর বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের যুগ্মসচিব ও পরিচালক আবু জাফর। তিনি শিক্ষক- শিশু শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত ও বর্তমান নিয়ে বলেন, একটা দেশের বড় সম্পদ মানুষ বা হিউম্যান রিসোর্স। এই দেশের মানুষকে যদি দেখভাল ও নার্সিং করি তবে দেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন