দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বিধ্বস্তের যে কারণ জানা গেল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বাকি দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। খবর দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ১৮১ জন আরোহী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় দমকল বাহিনী বলছে, উড়োজাহাজটিতে এ দু’জন ছাড়া ১৭৯ জনের কেউই আর বেঁচে নেই। ধারণা করা হচ্ছে, উড়োজাহাজটি ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে জেজু এয়ারের ২২১৬ ফ্লাইটটি। অগ্নিনির্বাপণ সংস্থার প্রধান লি জিয়ং-হিউন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দমকল বাহিনীর ধারণা পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে। বিমানের পেছনের অংশ অক্ষত দেখালেও এর বাকি অংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনস্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, বিমানটি রানওয়েতে নামার পর প্রচণ্ড গতিতে ছুটে গিয়ে একটি দেয়ালে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বিধ্বস্ত বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। সকাল ৮টা ৩০ মিটিটে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল বিমানটির। পাইলট বিমানের ক্রটি বুঝতে পেরে প্রথমবার অবতরণের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন। পাইলট আকাশের ওপরে উঠে আরেকটি গো-অ্যারাউন্ড করে। কর্তৃপক্ষের মতে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়। ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রাথমিক তদন্তে পাখির আঘাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিমানটি পাখির ঝাঁকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং পাখি ইঞ্জিনে প্রবেশ করেছে ধারণা করা হচ্ছে। উড়োজাহাজটিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং দুইজন থাই নাগরিক ছিলেন।
মন্তব্য করুন