ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৫

নাটোরের গুরুদাসপুরে ৯টি অবৈধ ইটভাটায় ২৮ লাখ টাকা জরিমানা

নাটোরের গুরুদাসপুরে ৯টি অবৈধ ইটভাটায় ২৮ লাখ টাকা জরিমানা। প্রতীকী ছবি

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে অনুমোদনবিহীন ৯টি ইটভাটাকে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. সালমা আক্তার।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. সালমা আক্তার বলেন, গুরুদাসপুর পৌর সদরসহ উপজেলায় মোট ১৩টি ইটভাটার মধ্যে ১১টির-ই লাইসেন্স নেই। প্রাথমিকভাবে এসব ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। গত রোববার গুরুদাসপুর পৌর সদরের ৫টি ও মশিন্দা ইউনিয়নের ৪টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

তবে সময় স্বল্পতার কারণে পৌর সদরের জাহিদ হোসেনের মেসার্স এমডিবি ও জহুরুলের মেসার্স এমএমবি বিকস নামের দুটি ইটভাটায় অভিযান দেওয়া সম্ভব হয়নি। খুব শিগগিরি অবৈধ এসব ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মৌজাতেই রয়েছে জুমির উদ্দিন মণ্ডলের মেসার্স এমজেডবি বিকস, জাকির হোসেনের মেসার্স এসএআর বিকস, আমজাদ-মফিজের মেসার্স এএমবি, জাহিদ হোসেনের মেসার্স এমডিবি, মোশারফ হোসেন হাজির মেসার্স এমবিপি ব্রিকস, টগরের মেসার্স একেবি ব্রিকস, জহুরুল-বিপ্লবের মেসার্স এমএমবি বিকস নামের ৭টি অনুমোদনহীন অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে।

এছাড়া উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর মৌজার ফসলি জমিতে আব্দুল কাদের হাজির মেসার্স এইচকেবি বিকস, হাজি বাদশার মেসার্স এইচবিবি বিকস, আব্দুল হাকিমের মেসার্স এইচআরবি বিকস, আব্দুর রহিমের মেসার্স এআরবি বিকস নামের অনুমোদনহীন চারটি ইটভাটা রয়েছে।

আরও পড়ুন

তবে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের কান্দিপাড়া-চিতলাপাড়া মৌজায় জাহিদ হোসেনের এমডিপি বিকস এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের একটি ভাটার অনুমোদন রয়েছে। এই দু’টি ইট ভাটাও ফসলের জমিতে গড়ে উঠেছে।

নাটোর পরিবেশ অফিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত কৃষি অফিস থেকে এক ফসলি জমির প্রত্যায়ণ পাওয়ার পরই তারা দু’টি ইটভাটাকে পরিবেশের ছাড়পত্র দিয়েছেন। অন্যরা অনুমোদন ছাড়াই ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ করছেন।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯-এ বলা হয়েছে, আবাসিক, সংরক্ষিত, বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান, জলাভূমি, কৃষি জমি, প্রতিবেশ গত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। অথচ সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গুরুদাসপুর পৌর সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি জমিতে ১৩টি ইটভাটায় মাটি পুড়িয়ে নিয়মিত ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তবে অবৈধ এসব ইটভাটার পক্ষে গুরুদাসপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোশারফ হাজি বলেন, ইটভাটার জন্য পরিবেশের ছাড়পত্র না দেওয়ায় তারা লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছেন না। তাছাড়া তারা ব্লক ইট প্রস্তুতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

গাজীপুরে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় ওষুধ ব্যবসায়ী নিহত

এবার স্কুলের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘আ. লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’

গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের ৪ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

গরুর দুধের থেকে মূত্রের দাম বেশি যে দেশে | Cow Urine | Karatoa International

যৌতুকের দাবিতে গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড