সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৯.৮ ডিগ্রী
মধ্য পৌষেই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে বগুড়াসহ গোটা উত্তরাঞ্চল
হাফিজা বিনা : মাঘ মাস আসতে এখনও ১৫ দিন বাকি। এরই মধ্যে বগুড়ায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নেমে এসেছে ১৪ ডিগ্রীতে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমার কারণে শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের দু’এক জায়গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও গোটা দেশ শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতি হিমালয় সংলগ্ন জেলা ও উপজেলাগুলোতে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও নামার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এমাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমে ৬ থেকে ৪ ডিগ্রীতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রচন্ড শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ ও প্রাণিকূল। গত কয়েকদিন দিনে সূর্য্যের হালকা তাপ থাকলেও গতকাল ছিল ঠান্ডা মেশানো কনকনে একটা দিন। উত্তাপ ছড়াতে পারেনি কোথাও। সারাদেশেই রাতে ও সকালে ঘন কুয়াশা এবং প্রচন্ড শীত অনুভূত হলেও সূর্য ওঠার কারণে কয়েকদিন ধরেই দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বগুড়ায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় শীতের কারণে রাস্তাঘাটে লোক চলাচল কমে যায়। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়নি। পরিস্থিতি এমন যে, ভোর ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। উত্তরে হাওয়া ও কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। অনেক এলাকায় দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও বেশি দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় রেল চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছাচ্ছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শহরের ভাসমান মানুষ ও খেটে খাওয়াদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের দোকানে প্রচন্ড ভিড় করছে শীতার্তরা। শীত এবং নতুন বই বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতেও প্রভাব পড়েছে। শীত বাড়ার পর থেকে শিশু ও বয়স্ক মানুষ সর্দি-কাশি, এ্যাজমা, হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালগুলোতে এসব রোগে ভর্তি রোগির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুনবগুড়া আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বগুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার এই ব্যবধান কমে যাওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামি কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার এবং এলাকাভেদে মাঝারি ও ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান সূত্রটি।
শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামে, তবে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
মন্তব্য করুন