একজন বিপ্লবী ভাইকে রক্তাক্ত হতে দেখা পীড়াদায়ক : সারজিস
গতকাল শহিদ মিনারে হামলায় আহত গণঅধিকার পরিষদের সহ—সভাপতি ফারুক হাসানকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গেছেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। সেখানে তিনি বলেছেন, এসব ঘটনার বিষয়ে সরকারকে সচেতন হতে হবে। নয়তো এসব ঘটনা আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ তৈরি করবে।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের বিএসএমএমইউ’তে যান সারজিস। সেখানে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, আমি রাতে ফেসবুকে হঠাৎ (ঘটনাটি) দেখতে পেলাম। আমাদের রাজপথের সহযোদ্ধা, আমরা যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এই গণঅভ্যুত্থানে লড়াই করেছি, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আমাদের একজন বিপ্লবী ভাইকে রক্তাক্ত হতে দেখা আসলে খুবই পীড়াদায়ক। এসব ভিডিও দেখতে দেখতে হঠাৎ করে দেখলাম বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক এহসান খোমিনি অভিযোগ করেন এসবের পেছনে আমি দায়ী। তিনি আরও বলেন, তার (এহসান খোমিনি) কথা শোনার পর আমার মনে হলো যেন অহি নাজিল হয়েছে, যার সম্পৃক্ততা পৃথিবীর কারও কাছে আনা সম্ভব নয়। আপনি (সাংবাদিক) ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলে দেখতে পারেন আমার আসলে কোনও সম্পৃক্ততা আছে কিনা। আমরা চাই ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রকৃত অর্থে দোষীদের শনাক্ত করা হোক। আর সরকারকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে, কেননা এটা না হলে আমাদের মধ্যে ঐক্য নষ্ট হবে।
আরও পড়ুনএটি রাজনৈতিক অপ্রচার কিনা জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বলেন, একটা বিষয়ে হুট করে কিছু বলে দেওয়া যায় না। বিপ্লবী পরিষদ বলছে ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রথম রাজনৈতিক দল’ তারা করতে যাচ্ছে। আমাদের আহতরা আমার কাছে জানতে চেয়েছে তারা সেখানে যাবে কিনা। তখন আমি তাদের গ্রুপে একটি ভয়েস মেসেজে জানিয়েছিলাম, আপনারা কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ব্যানারে গেলে তো তাদের হয়ে যাবেন। আপনারা তো পুরো বাংলাদেশের, আপনারা যদি দাবি জানাতে চান, তাহলে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপনাদের সহযোগিতা করবে। এর ওপর ভিত্তি করে হয়তো খোমিনি হামলায় আমার সংশ্লিষ্টতার কথা বলছে। এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনও সম্পর্ক নেই।
মন্তব্য করুন