কচুয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনিতে রাসেল শেখ (৩৮) নামে যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার মহিদ পাইকের বাড়ির সামনে গণপিটুনির শিকার হন রাসেল শেখ ও তার সহযোগী রাজিব। পরে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সন্ত্রাসী রাসেলের নামে কচুায়া থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৩টি মামলা রয়েছে।
নিহত সন্ত্রাসী চন্দ্রপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে। আহত রাজিব একই এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। গুরুতর আহত রাজিবকে কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনকচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সন্ত্রাসী রাসেল শেখ রাসেল ও তার সহযোগীরা উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার মহিদ পাইকের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করত। সপ্তাহখানেক আগে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ৫ জানুয়ারি শনিবার মহিদ পাইককে আরও টাকা জোগার করে রাখার জন্য শাসিয়ে যায়। যদি টাকা না রাখা হয়, ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। সোমবার বিকেলের দিকে সন্ত্রাসী রাসেলসহ তার সহযোগিরা ধারালো দা-কুড়াল নিয়ে মহিদের বাড়িতে ঢোকে এবং টাকা দাবি করে। এসময় বাড়ির নারীরা ডাক চিৎকার দিলে এলামবাসী এসে তাদের ধরে গনপিটুনি দেয়। অন্য কয়েকজন পালিয়ে গেলেও, রাসেল ও রাজিব গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যায় কচুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রাসেলকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত রাজিবকে কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গণপিটুনিতে নিহত সন্ত্রাসী রাসেলের নামে কচুায়া থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৩টি মামলা রয়েছে।
কচুয়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মনি শঙ্কর পাইক বলেন, রাসেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের মাথা, পিঠ, পাসহ বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন