ভিডিও শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

কুড়িগ্রামের খরস্রোতা ধরলা-বারোমাসিয়া নদীর বুকে সবজি ভান্ডার

কুড়িগ্রামের খরস্রোতা ধরলা-বারোমাসিয়া নদীর বুকে সবজি ভান্ডার। ছবি: দৈনিক করতোয়া

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় এক সময়ের খরস্রোতা ধরলা-বারোমাসিয়া নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদী গুলো পানি দিয়ে ভরপুর থাকতো। সে গুলো  শুকিয়ে যাওয়ায় সবুজ ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে জেগে ওঠা চরের জমি। চর জেগে ওঠা পলিমাটিতে বাম্পার ফলন ফলাচ্ছেন কৃষকরা। এ অঞ্চলের চাষীরা এসব ফসল বিক্রি করে অনেকটার স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

জানা গেছে, এক থেকে দেড় যুগ আগেও পানির প্রবাহ ও প্রাণের স্পন্দন ছিল ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীতে। এই দুই নদীর প্রবল স্রোতের কারণে আঁতকে উঠতো নদী পাড়ের হাজারও বাসিন্দারা। এখন পানি না থাকায় ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীতে ছোট বড় প্রায় দুই থেকে আড়াই শতাধিক চরের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার সময় দুই-তিন মাস বাদে বছরের বাকিটা সময় নদীর বুক চিরে পুরোদমে চলছে চাষাবাদ।

সীমান্তঘেঁষা এই নদী দু’টি এখন এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার বর্তমানে আয়ের প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব নদ-নদীর বুকে তীরবর্তী চাষিরা টানা দেড় যুগ ধরে বোরো ধান, ভুট্টা, বাদাম, কলা, মরিচ, বেগুন, টমেটো, বাঁধা -কপি, সরিষা, আলু করলাসহ নানা মূখী ফসলের চাষাবাদ করে আসছেন। নদীতে পানির ধারণ ক্ষমতা না থাকায় বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিপাতে বন্যা হয়ে যায়। ফলে বছরে দুই বার চাষবাদ করা গেলেও এখন আবহাওয়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিন-চার ফসল ফলাতে পারছে কৃষক। এতে করে বর্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষক।

উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দ এলাকার ওসমান আলী জানান,  বারোমাসিয়ার তীরে দুই বিঘা জমিতে বেগুনের চাষাবাদ করেছেন। এই বেগুন ক্ষেত থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে তার। তিনি আশা করছেন আরও বেশ কিছুদিন বেগুন  বিক্রি হবে।

আরও পড়ুন

শিমুলবাড়ী এলাকার ভুট্টা চাষি জহির  উদ্দিন ও আব্দুল হালিম জানান, গত বছর ধরলার বুকে পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ করেছিলেন। বিক্রি করার পর খরচ বাদে  দেড় লাখ টাকা লাভ হয়েছে তাদের। সেই আশায় এবারো ভুট্টা চাষাবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এ বছরও ভুট্টার ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

গোরক মন্ডল কৃষ্ণানন্দ বকসি মরিচ চাষি গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, বারোমাসিয়া বুকে এক বিঘা জমিতে মরিচ ক্ষেত লাগানো হয়েছে।  ভাল ফলন হয়েছে , দামও বেশি। আশা করছেন লাভ ভালই হবে। ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, ধরলা ও বারোমাসিয়াসহ নদীর অববাহিকায় এবার  ১১৫ হেক্টর আলু, ১০ হেক্টর মরিচ, বাঁধা -ফুলকপি ২৫ হেক্টর, বেগুন ১৫ হেক্টর, সরিষা ২৫ হেক্টর, ভুট্টা ৯৫০ হেক্টর, ডাল ১৫ হেক্টর, বাদাম ১৫ হেক্টর কলা ৮০ হেক্টর ও টমেটো ১০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চরাঞ্চলের এ সকল ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পর্ন তারকাকে ঘুস, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাজা এবং রেহাই

খালেদা জিয়া খাচ্ছেন তারেক রহমানের বাসায় তৈরি খাবার 

প্রথম জয় পেলো সিলেট : শাকিব খানের ঢাকার টানা ছয় হার

পাবনার বেড়ায় কর্মহীন মৃৎশিল্পীরা ঝুঁকে পড়ছেন অন্য পেশায়

বগুড়ার তালোড়ায় পারভিন সমাজ কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপক গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও

নীলফামারীর সৈয়দপুরে দোকানের তালা কেটে ৮ লাখ টাকা চুরি