ভিডিও শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বেশিরভাগ সড়ক সংস্কার না করায় বেহাল দশা

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বেশিরভাগ সড়ক সংস্কার না করায় বেহাল দশা

রংপুর জেলা ও গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি : রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বেশিরভাগ সড়ক সংস্কার না করায় বেহাল দশা হয়েছে। সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, কোথাও কার্পেটিং উঠে গিয়ে নিচের মাটি, খোয়া বেরিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও নগরবাসী। সিটি কর্পোরেশন বলছে, বরাদ্দ না থাকায় এসব সড়ক সংষ্কার হচ্ছে না। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে তবেই সড়ক সংস্কার হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়-বুড়িরহাট সড়কের মেডিকেল পূর্বগেট থেকে বুড়িরহাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে গঙ্গাচড়া, কিশোরগঞ্জ উপজেলা, লালমনিরহাট জেলায় প্রতিনিয়ত লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে।

নগরীর চব্বিশ হাজারী কদমতলা এলাকায় কথা হলে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী বাবু মিয়া বলেন, এ সড়কে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। এ সড়কের মনে হয় বাপ-মা নেই। তাই এ সড়ক মেরামত করারও কেউ নেই। প্রতিদিন এমন কষ্ট করে চলাচল করা লাগে।

রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র জাহাজকোম্পানী মোড় থেকে সাতমাথা পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত, উঠে গেছে কার্পেটিং। হেলে-দুলে চলছে যানবাহন। এ সড়ক দিয়ে কাউনিয়া উপজেলাসহ আশাপাশের কয়েকটি এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন রংপুর শহরে যাতায়াত করেন।

জাহাজ কোম্পানি-সাতমাথা সড়কের কামাল কাছনা এলাকায় কথা হয় অটোচালক রিপন মিয়ার সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। অসুস্থ রোগীকে নিয়ে এ সড়ক দিয়ে গেলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই এ সড়কে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। তবু এসব মেরামত করার কেউ নেই।

আরও পড়ুন


একই দশা বুড়িরহাট-হাজীরহাট ৬ কিলোমিটার সড়কটিরও। এ সড়কের শতাধিক ডোবার মতো গর্ত রয়েছে। গ্রীষ্মকালে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করলেও বর্ষায় আতঙ্ক হয়ে ওঠে সড়কটি। বুড়িরহাট-হাজীরহাট সড়কের অভিরাম এলাকায় কথা ওই এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে। ভাঙা সড়ক দেখিয়ে তিনি বলেন, এখন তো শুকনা মৌসুম, রাস্তা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে এদিক দিয়ে চলাচল মুশকিল হয়ে যায়।

কোনটা সড়ক, আর কোনটা গর্ত পানি জমে বোঝা যায় না। একেকটা গর্ত ১২ থেকে ১৫ ফুট দীর্ঘ, গভীরতাও একই সমান। এলাকাবাসী কয়েকবার সড়কটি মেরামতের জন্য সিটি করপোরেশনে গিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, প্রতি বছর বর্ষার পরই যে সমস্ত রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলো সংস্কার করে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রশাসনিক কাঠামোটা সিটি কর্পোরেশনের ভেঙে পড়েছে। যার ফলে রাস্তাঘাটগুলো একেবারেই চলার উপযুক্ত না। অনেক রাস্তায় রিকশা অসুস্থ মানুষের চলাচল কষ্ট হচ্ছে।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি কর্পোরেশনে মোট সড়ক রয়েছে এক হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতিমা বলেন, চলতি অর্থবছরে কোন বরাদ্দ না থাকায় সড়ক সংস্কারসহ উন্নয়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যহৃত হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাবানলে সব শেষ হলিউড তারকার, কাঁদতে কাঁদতে দিলেন বর্ণনা

স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে মেঘনা গ্রুপ, থাকছে না বয়সসীমা

পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদ আর দেশে ফিরতে পারবে না : রফিকুল ইসলাম খান

নওগাঁর রাণীনগরে ধানের দর নিম্নমুখী

৪৩ তম বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন সারা বিশ্বের কাছে শক্তিশালী ক্রিকেট দল : আজগর তালুকদার হেনা